অবসর-ম্যাচ স্মরণীয় করতে চান তাহির

শনিবার ম্যাঞ্চেস্টারে তাহির বলেন, ‘‘ক্রিকেট আমাকে সব কিছু দিয়েছে। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যখন অভিষেক হয়, আমার বয়স তখন ৩২। কবে যে ৪০ বছর হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

বিদায়বেলা: অনুশীলনে মার্করামের সঙ্গে ইমরান তাহির। ছবি: রয়টার্স।

শনিবার ম্যাঞ্চেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলে ওয়ান ডে থেকে অবসর নিতে চলেছেন ইমরান তাহির। ১০৭তম ওয়ান ডে ম্যাচে সমর্থকদের বিদায় জানাতে চলেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচ জিতেছে তাঁর দেশ। তাই অবসর ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চান এই অভিজ্ঞ লেগস্পিনার।

Advertisement

শনিবার ম্যাঞ্চেস্টারে তাহির বলেন, ‘‘ক্রিকেট আমাকে সব কিছু দিয়েছে। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যখন অভিষেক হয়, আমার বয়স তখন ৩২। কবে যে ৪০ বছর হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’

তাহির আরও বলেন, ‘‘আমার জন্ম অন্য দেশে হলেও এক বারও মনে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্য আমি নই। এ রকমই আপন করে নেওয়া হয়েছে আমাকে। শেষ ম্যাচ খেলতে নামার সময় দুঃখ হবে। কষ্ট হবে। কিন্তু জিতে শেষ করতে পারলে সে কষ্ট ভুলে যাওয়া সহজ হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শেষ ওয়ান ডে ম্যাচ স্মরণীয় করার জন্য নিজের সেরাটা দেব। আশা করি, সমর্থকদের আশীর্বাদ আমার পাশেই থাকবে।’’

Advertisement

এখনও পর্যন্ত ওয়ান ডে-তে ১৭২ উইকেট রয়েছে তাহিরের ঝুলিতে। শেষ ম্যাচে সেই উইকেট সংখ্যা বাড়াতে চাইবেন তিনি। অভিজ্ঞ লেগস্পিনারের বোলিংয়ের পাশাপাশি বহু বার আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর উৎসবের ভঙ্গি। উইকেট নেওয়ার পরে কোন দিকে দৌড়বেন তা নিজেও জানেন না। এ দিন তাহিরকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘শেষ ম্যাচে উইকেট নেওয়ার পরে সব চেয়ে বেশি দৌড়তে কি তোমাকে দেখা যাবে?’’ তাহিরের উত্তর, ‘‘উইকেট পাওয়ার আনন্দে কী করব বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু সমর্থকরা সে ভাবেই আমাকে মেনে নিয়েছেন। ভালবেসেছেন। শেষ ম্যাচে শনিবার উইকেট পেলে কী করব ঠিক করা হয়নি। তবে অবশ্যই দৌড়বো।’’

তাহির জানিয়েছেন, মাঠে আগ্রাসী মনোভাব দেখালেও মানুষ হিসেবে তিনি আবেগপ্রবণ। তাই আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করে রাখছেন। বলছিলেন, ‘‘শেষ বল করার সময় প্রচণ্ড কষ্ট হবে। হয়তো চোখ দিয়ে জলও পড়বে। তাই আগে থেকে সেই মুহূর্তের জন্য আমি তৈরি। আসলে অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। প্রচুর আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। তাই হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ম্যাচ জিতে অবসর নিতে পারলে সব চেয়ে ভাল লাগবে।’’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই বল-বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। তাঁদের মধ্যে স্মিথ ও ওয়ার্নার অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপ দলের সদস্য। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি যদিও পুরনো বিষয় বেশি কথা বলতে চাননি। বরং স্মিথদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের ডুপ্লেসি বলেন, ‘‘একটি ঘটনা দিয়ে কাউকে যাচাই করা উচিত না। ওদের রেকর্ড ও ফর্ম এই ঘটনার চেয়ে অনেক বেশি মাহাত্ম পায়। যে ভুল ওরা করেছিল তার শাস্তি পেয়েছে। সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছে। দু’জনে ফেরার পরে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন-আপ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই আগের কথা তুলে ওদের ছোট করার কোনও কারণ দেখছি না।’’

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা নিয়ে নামবেন তিনি? অধিনায়কের উত্তর, ‘‘এত দিন যা ভুল করেছি, কাল তার একটিও করা চলবে না। শুরু থেকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলব। চলতি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মাথায় রাখতে চাই না। কাল প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটাই দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement