হতাশা: কাঁধের চোটই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল স্টেনকে। ফাইল চিত্র
ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা। কাঁধের চোট পুরোপুরি না সারায় চলতি বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন ডেল স্টেন। সঙ্গে জল্পনা শুরু হল, এই চোটের জন্য অচিরে স্টেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হবেন
না তো!
স্টেনকে এই ভাবে হারানোর জন্য ঘুরিয়ে আইপিএলকে দায়ী করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। তিনি বলেছেন, ‘‘ডেল যদি আইপিএলে না খেলত, তা হলে কে বলতে পারে ও হয়তো আজ সুস্থ থাকত। কিন্তু এ সব ব্যাপার তো আর আমাদের হাতে নেই।’’
স্টেন খেলতে পারবেন না বুঝে তাঁর বিকল্প হিসেবে ঘোষণা করা হল বাঁ-হাতি পেসার বেউরান হেনড্রিক্সের নাম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে এ বারের আইপিএল খেলার সময়ই পঁয়ত্রিশ বছরের স্টেন তাঁর কাঁধে চোট পান।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আইসিসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টেকনিক্যাল কমিটির সম্মতিতে ডেল স্টেনের বদলি হিসেবে বেউরান হেনড্রিক্স প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে খেলতে পারবেন।’’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘স্টেন দ্বিতীয় বার কাঁধে চোট পাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা প্রচুর চেষ্টা করলেও তা এখনও পুরোপুরি সারেনি। আগামী দিনে আবার কবে তাঁকে জাতীয় দলের হয়ে বোলিং করতে দেখা যাবে তা বলা যাচ্ছে না।’’
বিশ্বকাপে খেলার জন্য টানা বেশ কিছুদিন রিহ্যাব করেছিলেন স্টেন। ইংল্যান্ডে নেটেও বোলিং করছিলেন। এমনকি সোমবার বিকেলে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে স্বাভাবিক অ্যাকশনেই তিনি হাসিম আমলাকে নেটে বল করেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর ছিটকে যাওয়ার খবরে ক্রিকেট মহল বেশ অবাক। অবশ্য এটাও বলা হচ্ছিল যে, ইংল্যান্ডেই তিনি শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন। বিশ্বকাপে এ বার প্রথম দু’টি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ১০৪ রানে। আর বাংলাদেশ তাদের হারিয়েছে ২১ রানে। স্টেন অবশ্য এই দু’টি ম্যাচের একটাতেও খেলতে পারেননি। অনেকে মনে করেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে বুধবার তাঁকে প্রথম মাঠে দেখা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে রকম কিছু হল না।
এই হতাশ হওয়ার ব্যাপারটা স্পষ্ট ডুপ্লেসির কথায়। তিনি বলেছেন, ‘‘ডেলকে এ বার পাওয়াই গেল না। আমাদের ভাগ্য খুবই খারাপ।’’ ডুপ্লেসির আরও মন্তব্য, ‘‘জাতীয় দলে ফিরে এসে বিশ্বকাপে খেলার জন্য ও প্রচুর চেষ্টা করেছিল। এই দু’বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা খুব একটা ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাইনি। ও থাকলে আমাদের শক্তি অনেকটাই বেড়ে যেত। হয়তো এটাই ওর শেষ বিশ্বকাপ। আমরা সবাই চেয়েছিলাম, এই সময়টায় মাঠে আর মাঠের বাইরে ওর পাশে থাকতে। ওর বিদায়টা যাতে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। কিন্তু সেটা হল না ভেবে খুব খারাপ লাগছে।’’
আঠাশ বছরের হেনড্রিক্স এ’বছরের গোড়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। মোট ম্যাচ খেলেছেন মাত্র দু’টি। শুরুতে তিনি বিরাট কিছু সফল হননি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। গড় ৫.০৬। তবে বেশ জোরে বল করেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।