সেঞ্চুরির পরে ইমাম। ছবি: এএফপি।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে আবির্ভাব ঘটেছিল বাংলাদেশের। সে বার আমিনুল ইসলামের বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল ওয়াসিম আক্রমের পাকিস্তানকে। তখন দারুণ দল পাকিস্তানের।
ওয়াসিম আক্রমের পাশাপাশি ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার আগুন জ্বালাচ্ছিলেন। বিশ্বক্রিকেটের দুর্দান্ত সব বোলারকে সামলে সে বার বাংলাদেশ ৬২ রানে হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। ক্রিকেট মাঠে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারলে বিশ্বক্রিকেটের শক্তিশালী দেশকেও যে হারানো সম্ভব, সেই বিশ্বাস জন্মেছিল আমিনুল ইসলামদের মনে।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তিন-তিনটি ম্যাচ ইতিমধ্যেই জিতেছে। শুক্রবার লর্ডসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে সম্মানরক্ষার। ২০ বছর আগের এক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোই উদ্দেশ্য এখন শাকিবদের। বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। অঙ্কের হিসেবে বেঁচে ছিল পাকিস্তানের শেষ চারে পৌঁছনোর আশা। বাংলাদেশ-ম্যাচের বল গড়ানোর আগে পাক-অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেছিলেন, শাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে ৫৫০ রান করার জন্য ঝাপাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বার বার ব্যাটের লোগো পাল্টে স্পনসরদের শুভেচ্ছা, অবসরের ইঙ্গিত ধোনির?
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি কোন দল? কী বলছে হিসেব? দেখে নিন চার সম্ভাবনা
শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ৫০ ওভারের শেষে পাকিস্তান থামল ৯ উইকেটে ৩১৫ রানে। মাশরাফিদের ৭ রানে অল আউট করলে পাকিস্তান চলে যেত শেষ চারে। বাংলাদেশ খুব সহজেই সেই রান করে ফেলায় সেমিফাইনালের দরজা বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানের জন্য। পাক-ওপেনার ইমাম উল হক এ দিন ১০০ রান করেন। বাবর আজম ৯৬ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়ানে। সেঞ্চুরি না পেলেও বাবর আজম গড়ে ফেলেন রেকর্ড। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদকে টপকে পাকিস্তানের হয়ে এক বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি রান করার মালিক এখন বাবর। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ৪৩৭ রান করেছিলেন মিয়াঁদাদ। বাবর করলেন ৪৭৪ রান। বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি এ দিন। ব্যতিক্রম মুস্তাফিজুর রহমান। হ্যারিস সোহেলকে ফিরিয়ে ৫৪ ম্যাচে ১০০ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। বাবর আজমের রেকর্ড গড়ার দিনেই মাথা নীচু করে লর্ডস ছাড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে।