বিশ্বকাপে একের পর এক ম্যাচ জমে উঠেছে। এর মাঝেই ফিরে যাওয়া যাক অতীতে, ক্রিকেট লেজেন্ডদের মধ্যে অনেকেই একের পর এক বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়েছেন। একাধিক বিশ্বকাপে খেলেছেন তাঁরা। ভারতীয় ও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ার ক্রিকেটাররাও।
পাকিস্তানের জাভেদ মিঁয়াদাদ অংশ নিয়েছেন একাধিক বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের ৩৩ ম্যাচে ১০৮৩ রান করেছেন, গড় ৪৩.৩২। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।
ইমরান খান অংশ নিয়েছেন একাধিক বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের ২৮ ম্যাচে ৬৬৬ রান করেছেন, গড় ৩৫.০৫। ৩৪টি উইকেট পেয়েছেন, গড় ১৯.২৬। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।
অর্জুন রণতুঙ্গার হাত ধরে ১৯৯৬ সালে খেতাব জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের ৩০ ম্যাচে ৯৬৯ রান করেছেন, গড় ৪৬.১৪। ৬টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।
অরবিন্দ ডি সিলভা ৩৫ ম্যাচে ১০৬৪ রান করেছেন বিশ্বকাপে। গড় ৩৬.৬৮। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৬.৫৭। তিনি ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত একাধিক বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন।
ওয়াসিম আক্রম ৩৮ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়েছেন। ৪২৬ রানও করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১০১.১৮। তিনিও ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত একাধিক বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন।
সচিন তেণ্ডুলকরও ছ’টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ৪৫টি ম্যাচে ২,২৭৮ রান করেছেন তিনি। গড় ৫৬.৯৫, স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৮.৯৮। ছ’টি শতকও করেছেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত একাধিক বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন।
ইনজামাম উল হক ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। ৩৫ ম্যাচে ৭১৭ রান করেছেন। ভাল ক্রিকেটার হলেও বিশ্বকাপের ম্যাচে গড় ভাল নয় একেবারেই। মাত্র ২৩.৯০।
সনৎ জয়সূর্য ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৩৮ ম্যাচে ১১৬৫ রান, গড় ৩৪.২৬। স্ট্রাইক রেট ৯০.৬৬।
ব্রায়ান লারা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৩৪টি ম্যাচে ১২২৫ রান করেছেন। গড় ৪২.২৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দ্রপল ১৯৯৬ থেকে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৩১টি ম্যাচে ৯৭০ রান করেছেন। গড় ৪০.৪১। স্ট্রাইক রেট ৬২.১৩।
জাক কালিস দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন। পাঁচটি বিশ্বকাপে ৩৬টি ম্যাচে তিনি ১,১৪৮ রান করেছেন। গড় ৪৫.৯২। ২১টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
মুথাইয়া মুরলীধরন ১৯৯৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সবকটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। ৪০ ম্যাচে ৬৮ উইকেট দখল করেছেন তিনি। গড় ১৯.৬৩। স্ট্রাইক রেট ৩০.৩।
অস্ট্রেলিয়ার দু দু’টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ১৯৯৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন। ৪৬টি ম্যাচে ১৭৪৩ রান করেছেন। গড় ৪৫.৮৬। স্ট্রাইক রেট ৭৯.৯৫।
কেনিয়ার টমাস ওডোয়ো ১৯৯৬-২০১১ পর্যন্ট সবক’টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২৫টি ম্যাচে ৪৬৩ রান করেছিলেন। গড় ২৪.৩৬। ২৩টি উইকেটও দখল করেছেন তিনি।
কেনিয়ার স্টিভ টিকোলো ১৯৯৬-২০১১ পর্যন্ট সবক’টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২৮ ম্যাচে ৭৬৮ রান করেছেন। ২৯.৫৩ গড়। ১৫টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনে ১৯৯৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সালের ফাইনালে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ ফাইনালেও চমৎকার খেলেছিলেন তিনি।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকে্টার শাহিদ আফ্রিদি। ২০ ম্যাচে ২০৯ রান করেছেন।২৮টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।