সফল: প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট নিয়ে নায়ক চহাল। ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই ৫১ রানে চার উইকেটে নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। ভারতীয় লেগস্পিনারের দুর্দান্ত সাফল্যের নেপথ্যে দাবা!
সাউদাম্পটনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‘দাবা আমাকে শিখিয়েছে ধৈর্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। দাবা খেলার সময় আগে থেকেই ১৫-১৬টা চাল ঠিক করে রাখতে হয়। বল করার সময়ও আমি সেটা করি।’’ কী ভাবে? চহালের ব্যাখ্যা, ‘‘ফ্যাফ ডুপ্লেসির মতো ব্যাটসম্যানকে কখন গুগলি বা ফ্লিপার দিতে হবে, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখতেই হবে। কারণ, কোন বলে ও মারবে, আর কোনটায় সমস্যায় পড়বে তা জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ বুধবার চহালের বলেই ৩৮ রানে বোল্ড হন ডুপ্লেসি। উচ্ছ্বসিত ভারতীয় লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‘ডুপ্লেসিকে যে ভাবে আউট করেছি, তাতে আমি খুশি। ওকে আমি অফস্টাম্পের বাইরে বল করেছিলাম। বলটা হাওয়ায় বাঁক খেয়ে ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল।’’ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে থাকার সময়ে আইপিএলে খেলার সুযোগ কার্যত পাননি চহাল। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে যোগ দেওয়ার পরেই বদলে যায় ছবিটা। ভারতীয় দলে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন চহাল। অধিনায়ক বিরাট কোহালিও তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পরে বলেছেন, ‘‘ও এমন এক জন বোলার, যে সব রকম পরিস্থিতিতে বল করার জন্য তৈরি। কখনও আপত্তি করে না।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘পাওয়ার প্লে-তেও বল করার জন্য তৈরি থাকে। শুধু তাই নয়। তিরিশ গজের বৃত্তের ভিতরে সাত ফিল্ডার রাখলেও বল করতে আপত্তি নেই চহালের। নিজের প্রতি দারুণ আস্থা। ওর মতো ম্যাচ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা অন্য কেউ করতে পারে না।’’ কোহালির মতে, উইকেটের চরিত্র বুঝে বল করতে পারেন চহাল। তিনি বলেছেন, ‘‘কোন উইকেটে কী ধরনের বল করতে হয়, খুব ভাল জানে চহাল। এটাই ওর শক্তি। বলটা ও হৃদয় দিয়ে করে। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এই জায়গায় পৌঁছেছে।’’ অধিনায়ক প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেও চহাল কৃতিত্ব দিচ্ছেন পেসারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যশপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমার দু’টো করে উইকেট নেন। চহাল বলেছেন, ‘‘পেসাররা আমার ও কুলদীপের চাপটা কমিয়ে দিয়েছিল। ওদের জন্যই আমরা আক্রমণাত্মক বোলিং করতে পেরেছি।’’