এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত শাসন করেছে শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরাই। মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানদের সেই ভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি। বল হাতে স্পিনারদের থেকে বেশি সাফল্য এসেছে পেসারদের ঝুলিতে। গ্রুপ পর্বের নীরিখে কেমন হল বিশ্বকাপের সেরা একাদশ? দেখে নিন কতটা মিলল আপনার পছন্দের সঙ্গে।
রোহিত শর্মা: পাঁচটা সেঞ্চুরির রেকর্ড করে ওপেনে প্রথম নামটা অন্য কারও ভাবার সুযোগই দেননি 'রো-হিট'। এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের সচিনের ৬৭৩ রানের রেকর্ড টপকাতে আর মাত্র ২৭ রান বাকি রোহিত শর্মার। সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করলে তিনি হবেন বিশ্বকাপে সর্বাধিক শতরানের মালিক।
ডেভিড ওয়ার্নার: বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের তালিকায় তিনি এখন দুই নম্বরে। সেরা একাদশে বাঁ-হাতি ডান-হাতি কম্বিনেশনে এই জুটি যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। নির্বাসন থেকে ফিরে এসে রানের খিদে যেন বেড়ে গিয়েছে এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের।
শাকিব আল হাসান: এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে তিন নম্বরে তিনি যে ফর্ম দেখিয়েছেন, অন্য কাউকে তিন নম্বরে ভাবা মুশকিল। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, সেরা একাদশে বল হাতেও দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান ও ১১টি উইকেট নিয়ে তিনি এই বিশ্বকাপের সেরা অলরাউন্ডার।
বিরাট কোহালি: ৫টি অর্ধশতরান করে ভারতের ধারাবাহিক তিন নম্বর। কিন্তু এই দলে চারে নামতে হচ্ছে। তবে শুধু ব্যাটিং-এর জন্য নয়, এই দলের অধিনায়কও তিনিই। এ বারের বিশ্বকাপে অনেক পরিণত বিরাটকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
কেন উইলিয়ামসন: ধারাবাহিক চার ও পাঁচ নম্বর এ বারের বিশ্বকাপে নেই বললেই চলে। ব্যতিক্রম কেন উইলিয়ামসন। কিউয়ি অধিনায়কের বিশ্বকাপে রান ৮ ম্যাচে ৪৮১, গড় ৯৬.২। দু'টি শতরান ও একটি অর্ধশতরান নিয়ে তিনি এই দলের পাঁচ নম্বরে। দ্রুত উইকেট চলে গেলে এই দলের ভরসা হতে পারেন তিনি।
জনি বেয়ারস্টো: আক্রমণাত্মক ইংরেজ ওপেনার। দরকারে নীচের দিকে নেমেও খেলতে পারেন। এই দলের উইকেটরক্ষকও তিনি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারি এই বিশ্বকাপের সফলতম উইকেটকিপার হলেও মারকুটে ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টোকেই বেছে নেওয়া হল এই দলে।
হার্দিক পাণ্ড্য: দ্রুত রান তোলার দরকারে যেমন ভারতের এই অলরাউন্ডারের জুরি মেলা ভার, তেমনই বল হাতে পার্টনারশিপ ভাঙতেও পারদর্শী তিনি। ইংল্যান্ডের পিচে এরকম একজন পেসার অলরাউন্ডার যে কোনও দলেই প্রচণ্ড কার্যকরী।
ইমরান তাহির: খেলে ফেলেছেন জীবনের শেষ ম্যাচ। তাঁর শেষ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হলেও স্পিনারদের মধ্যে এই দলে তাঁকেই বেছে নিতে হবে। এ বারের বিশ্বকাপে স্পিনাররা উইকেট নিতে সেই ভাবে সফল নন। ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে স্পিনারদের মধ্যে সেরা তিনিই।
জোফ্রা আর্চার: ইংল্যান্ডের এই সিমারের প্রচণ্ড গতি বার বার বিপদে ফেলছে ব্যাটসম্যানদের। ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে নিয়মিত বল করে যাওয়া এই বোলারের শিকার ১৭টি উইকেট। ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়া এই পেসার বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে না নিলে কি ভুল করতেন ইংরেজরা। এই দলেও তাই তাঁকে না নেওয়ার ভুল করা উচিত হবে না।
মিচেল স্টার্ক: উইকেট শিকারিদের তালিকায় এই মুহূর্তে ২৬টি উইকেট নিয়ে তিনি শীর্ষে। এই মুহূর্তে যে ফর্মে রয়েছেন বাঁ-হাতি এই বোলার, যে কোনও দলেই প্রধান বোলার হিসেবে জায়গা করে নেবেন নিশ্চিন্তে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা পেসারদের তালিকায় নিজের নাম ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন তিনি।
যশপ্রীত বুমরা: এ বারের ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগের প্রধান এই ডেথ বল স্পেশালিষ্ট। বিরাট তাঁকে ব্যবহারও করছেন বেশ বুদ্ধির সঙ্গে। বিশ্বকাপের সেরা দলেও তাঁর জায়গা পাওয়া নিশ্চিত। তাঁর ইয়র্কারের উত্তর এখনও কোনও ব্যাটসম্যান খুঁজে পাননি।