অভিনন্দন: আফগানিস্তানের রহমত শাহকে আউট করার পরে অ্যাডাম জ়াম্পার সঙ্গে স্টিভ স্মিথ। গেটি ইমেজেস
বিশ্বকাপে তিনি যে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া, তার আগাম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এ বার অরেঞ্জ ক্যাপ পেয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচেই ১১৪ বলে অপরাজিত ৮৯ রান করে ম্যাচের সেরা তিনি। লক্ষ্য কিছুটা বেশি থাকলে হয়তো প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে দিতেন ওয়ার্নার। শনিবার ব্রিস্টলে অস্ট্রেলিয়া জিতল সাত উইকেটে। আফগানিস্তানের ২০৭ রানের জবাবে ৩৪.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান করে তারা।
এ দিন টস জিতে ভয়ডরহীন সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে ভয় পাননি আফগান অধিনায়ক। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় মহম্মদ নবির দল। পাঁচ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। মহম্মদ শেহজ়াদ ও হজ়রতুল্লা জ়াজ়াই দু’জনেই ফিরে যান শূন্য রানে। পরে ম্যাচের হাল ধরেন হরমত শাহ ও হাশমাতুল্লা শাহিদি। ৬০ বলে ৪৩ রান করেন রহমত। হশমতুল্লা ফিরে যান ১৮ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার এই বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধেও উইকেট কামড়ে পড়েছিলেন নাজিবুল্লা জ়াদরান ও অধিনায়ক গুলবাদিন। ৪৯ বলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন নাজিবুল্লা। ৩১ রান গুলবাদিনের। শেষের দিকে নাজিবুল্লা ও রশিদ খানের জুটি ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করে আফগানদের। ১১ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রশিদ। কিন্তু এ দিন রান পেলেন না প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ নবি (৭)।
কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ২০৭ রান করে জেতা যে সহজ নয়, তা এদিন টের পায় আফগানিস্তান। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। ৪৯ বলে তিনি করেন ৬৬ রান। ওয়ার্নার যদিও শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন না। ফিঞ্চ আউট হওয়ার পরে তিন নম্বরে নেমে ১৫ রান করে ফিরে যান উসমান খোয়াজা। রশিদ খানের গুগলি বুঝতে পারেননি তিনি। স্মিথও ১৮ রান করে ফিরে যান। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। কারণ, ওয়ার্নার-ফিঞ্চ জুটি তত ক্ষণে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘‘এ ভাবেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চেয়েছিলাম।’’