রজ্জাকের বোমা, আফ্রিদির চড়েই স্পট ফিক্সিং কাণ্ড মেনেছিল আমির

পাকিস্তান বোর্ডের সেই সময়ের প্রশাসকদেরও সমালোচনা করেন রজ্জাক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০৬:৩৯
Share:

আব্দুল রজ্জাক। ফাইল চিত্র।

বুধবার টনটনে তাঁর পাঁচ উইকেট পাওয়ার দিনেই আবার উঠে এল সেই অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। যা ফাঁস করলেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার আব্দুল রজ্জাক। পাকিস্তানের কলঙ্কিত ২০১০ ইংল্যান্ড সিরিজের অনেক আগেই মহম্মদ আমির স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর কথা স্বীকার করেছিলেন। দাবি প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার আব্দুল রজ্জাকের।

Advertisement

পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলে তিনি বলেছেন, তৎকালীন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি চড় মারার পরে আমির স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। ‘‘আফ্রিদি আমায় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই আমি চড় মারার শব্দ পাই। এর পরেই আমির সত্যি কথা বলে দেয়,’’ বলেছেন রজ্জাক।

পাকিস্তান বোর্ডের সেই সময়ের প্রশাসকদেরও সমালোচনা করেন রজ্জাক। ‘‘আমার মনে হয় সেই সময় আইসিসির কাছে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে না গিয়ে পিসিবির উচিত ছিল অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারের দিকে নজর দেওয়া। তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও দেশে ফেরত আনা। ওদের এক বছরের জন্য নির্বাসিত করাও উচিত ছিল। এ সব না করে শেষ পর্যন্ত পিসিবি বিশ্বের সামনে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’’

Advertisement

৩৯ বছর বয়সি রজ্জাকের আর দাবি ইংল্যান্ডে কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার অনেক আগেই বাট ইচ্ছা করে ডট বল খেলছিলেন ম্যাচে। ‘‘আমি সব জানিয়েছিলাম আফ্রিদিকে। কিন্তু ও বলেছিল এ সব আমার মনের ভুল। সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু আমি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (২০১০) একটা ম্যাচে সলমনের সঙ্গে ব্যাট করতে নামি, আমি নিশ্চিত ছিলাম দলকে ও ডুবিয়ে ছাড়বে।’’ রজ্জাক সলমনকে বলেন, সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক তাঁকে দিতে। কিন্তু তাঁর পরামর্শ মতো খেলেননি সলমন। ‘‘ও যখন এই কৌশলে খেলতে অস্বীকার করল, আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন বুঝতে পারলাম ও কিছু একটা করতে যাচ্ছে তখন কড়া করে বললাম স্ট্রাইক আমায় দিতে। তার পরেও প্রত্যেক ওভারে ও ইচ্ছে করে দুই-তিন বল খেলে আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। আমি এ সব দেখে হতাশ হয়ে পড়ি, চাপের মুখে আউটও হয়ে যাই,’’ বলেন রজ্জাক।

সলমন বাট, আমির এবং মহম্মদ আসিফকে স্পট ফিক্সিং মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয় ২০১০ সেপ্টেম্বরে। পরে ২০১১-র গোড়ার দিকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসনের শাস্তি। তিন ক্রিকেটারই শাস্তি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন। তবে এর মধ্যে শুধু আমিরকেই পাকিস্তান দলে ডাকা হয় বিশ্বকাপের জন্য।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement