Yashasvi Jaiswal

ঘরের কাজ, জুতো পালিশ, সব করে দেব, শুধু ক্রিকেট খেলতে দিন, কোচকে বলেছিল ছোট্ট যশস্বী

ফাইনালে পরাজয়ের পর কেটে গিয়েছে তিন দিন। কিন্তু পোচেস্ট্রুমের রবিবার এখনও ঘোরের মতো আচ্ছন্ন করে রেখেছে ১৮ বছর বয়সিকে। বাংলাদেশের কাছে হার এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে, স্বাভাবিকই হতে পারছেন না।

Advertisement

সৌরাংশু দেবনাথ

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:২৭
Share:

গুরু ও শিষ্য। জ্বালা সিংহের সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়াল। —নিজস্ব চিত্র।

যুব বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার। ১৩৩ গড়ে টুর্নামেন্টে করেছেন ৪০০ রান। সেমিফাইনালে ম্যাচ-জেতানো সেঞ্চুরি ও চারটি হাফ-সেঞ্চুরির অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা। তবু, মুখের জ্যামিতিতে এক ফোঁটা আনন্দ নেই। বুধবার সকালে মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে উপস্থিত কারও কারও মনে হল বিশ্বকাপের ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়ে নয়, যেন মুম্বইয়ের হয়ে কোনও একটা ম্যাচ খেলে ফিরছেন!

Advertisement

চুম্বকে, আপাতত এটাই যশস্বী জয়সওয়ালের দুনিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজয় এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে, স্বাভাবিকই হতে পারছেন না। ছোটবেলা থেকে যিনি বড় করেছেন, যাঁর বাড়িতে থেকে ক্রিকেট-সাধনা চলে এখনও, সেই জ্বালা সিংহকে অনুরোধ করেছিলেন যেন বিমানবন্দরে হই-হট্টগোল না হয়!

ফাইনালে পরাজয়ের পর কেটে গিয়েছে তিন দিন। কিন্তু পোচেস্ট্রুমের রবিবার এখনও ঘোরের মতো আচ্ছন্ন করে রেখেছে ১৮ বছর বয়সিকে। ৮৮ রানের ইনিংসে একাই টানছিলেন দলকে। কিন্তু, ক্রিকেট তো আর একজনের খেলা নয়। প্রতিভার একক ঝলকানিও মাঝে মাঝেই স্তিমিত হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সামনে। যশস্বী পারেননি বিশ্বকাপ স্পর্শ করতে। তাঁর সেই যন্ত্রণা এখনও জুড়ে রয়েছে চেতনায়। বিষণ্ণতা এতটাই যে, বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়েই পড়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কিউয়িদের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশের ফলে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন এই ক্রিকেটাররা

ক্লান্ত, অবসন্ন, পরিশ্রান্ত— প্রিয় ছাত্রের দশা দেখে মন খারাপ কোচেরও। আনন্দবাজার ডিজিটালকে দুপুরে বললেন, “বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন কে না দেখে? আর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তো কোনও ভারতীয় একবারই খেলতে পারে। এটাতে খেলার জন্য একটা টাইমিংয়েরও প্রয়োজন হয়। সেই সময়ে কেমন ফর্মে রয়েছে, দক্ষতার শীর্ষে রয়েছে কি না, দেখতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সব কিছু ঠিকঠাক করে দলে এসে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে তার পর হেরে গেলে হতাশা গ্রাস করবেই। আমি তো বিমানবন্দরে দেখলাম একদম স্বাভাবিক। যেন মুম্বইয়ের হয়ে কোনও অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়েছিল, এমন হাবভাব। আগেই বলে দিয়েছিল যে ভারত হেরেছে, মন ভাল নেই, তাই যেন ওকে নিয়ে কোনও উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা না থাকে। আর আমরাও তো হতাশ। এই বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ জীবনে একবারই আসে। আর ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে যশস্বীর পারফরম্যান্সও অনেক বেশি ঝলমলে দেখাত।”

যুব বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের ট্রফি হাতে যশস্বী। ছবি: এএফপি।

অবশ্য যশস্বীর পারফরম্যান্স এমনিতেই ঝকঝকে। কিন্তু ট্রফি জিততে না পারা ব্যক্তিগত কীর্তিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখছে। ছোট থেকে যশস্বী এই শিক্ষাই পেয়ে এসেছেন যে, ক্রিকেটের মতো টিম গেমে ব্যক্তির অনেক আগে থাকে দল। আর সেটাই ফের মনে করিয়ে দিলেন কোচ। বললেন, “দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে কাপ জিতে আনাই সবচেয়ে জরুরি। নিজে কী করলাম, সেটার কোনও মূল্য নেই। আমি অবশ্য খুশি যে ও ভাল খেলেছে। তবে ক্রিকেট তো টিম গেম। সবাইকে পারফর্ম করতে হয়। দেশবাসী হিসেবে তাই নিরাশ।”

এটা ঘটনা, প্রিয়ম গর্গের দল ট্রফি না জিতলেও আগামী দিনের তারকা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছেন যশস্বী। যা হয়ে উঠছে আধুনিক রূপকথা। বেনারস থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের ভাদোহিতে জন্ম যশস্বীর। বাবা ভূপেন্দ্র রং বিক্রি করতেন। বেসরকারি স্কুলে পড়াতেন মা কাঞ্চন। চার সন্তানের লালন-পালনের পর যশস্বীকে ক্রিকেটার বানানোর খরচ জোগানো অসম্ভব হয়ে উঠছিল। তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসার জন্য বাবাকে বুঝিয়েছিলেন যশস্বী। সেই সময় আজাদ ময়দানে তাঁবুতে থাকত হত। পানিপুরি বিক্রি করে চালাতে হত পেট।

আরও পড়ুন: ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ জিততে পারি’​

আর এই সময়ই একদিন জ্বালা সিংহের নজরে পড়ে ছোট্ট যশস্বী। ঘুরে যায় জীবনের গতিপথ। তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন জ্বালা। হবু স্ত্রী বন্দনাকে বলে দেন, এই ছেলেটাকে কিন্তু নিজের ছেলের মতোই গড়ে তুলতে হবে। সেই শুরু। আর ফিরে তাকাতে হয়নি যশস্বীকে।

কেন অপরিচিত একজনকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন? অতীতে ফিরে গেলেন জ্বালা। ফ্ল্যাশব্যাকে কি নিজের জীবনও ফুটে উঠল চোখের সামনে? বললেন, “পাঁচ বছর আগে যখন আমার কাছে এসেছিল, তখন প্রচুর স্ট্রাগল করছিল। আমি এই স্ট্রাগলের ব্যাপারটাতেই ওর সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি নিজেও গোরক্ষপুর থেকে ১৩ বছর বয়সে মুম্বই এসেছিলাম ক্রিকেটার হব বলে। আমার কোনও গডফাদারও ছিল না। শুধু পরিশ্রম করে গিয়েছিলাম। তবে শুধু প্রচুর পরিশ্রমেই কি সাফল্য আসে? সঠিক পরিশ্রম করার দরকার ছিল। পথ দেখিয়ে দেওয়ার মতো কাউকে দরকার ছিল। আর টাইমিংও একটা ব্যাপার। ঠিক সময়ে পারফর্ম করতে হয়। চাইনি, যশস্বীর অবস্থাও আমার মতো হোক। এটা এমন ব্যাপার যে নিজে স্ট্রাগল না করলে কেউ উপলব্ধি করতেই পারবে না। প্রতিভা ওর মধ্যে ছিলই। কিন্তু আমাকে আকৃষ্ট করেছিল ওর লড়াই।”

প্রথম দেখায় যা বলেছিলেন যশস্বী, তা এখনও মনের মধ্যে বাজে তাঁর। পাশের ঘরেই ঘুমন্ত ছাত্র, জ্বালা শোনালেন, “আমাকে বলেছিল, স্যার, আমি আর কোনও কিছু পারি না। শুধু ক্রিকেট খেলতে পারি। আমি আপনার সব কাজ করে দেব। যা বলবেন সব করব, ঘর পরিষ্কার করব, জুতো পালিশও করে দেব। শুধু ক্রিকেট খেলতে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়েছিল যে, আরে, আমিও তো এক সময় এই কথাগুলোই মুম্বই এসে কাউকে বলেছিলাম! কোথাও একটা আত্মিক সংযোগ তৈরি হয়েছিল সঙ্গে সঙ্গে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যতটা পারি ওর পাশে থাকব। এমন নয় যে আমাকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। অনেকেই বলেছেন যে, বাইরের একটা ছেলেকে কেন ঘরে রাখছি। কেউ কেউ বলেছেন, পরে বিপদে পড়তে হবে। আর সেই সময় আমি সিঙ্গলও ছিলাম। বিয়ে হয়নি। বিয়ের আগে আবার স্ত্রীকে যশস্বীর কথা বলে জানিয়েছিলাম যে, একে কিন্তু মায়ের মতো দেখতে হবে। তার পর কিন্তু ওকে আর কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি।”

মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে নিজের অ্যাকাডেমি রয়েছে জ্বালার। সেখানেই এর পর থেকে সাধনা শুরু হয় যশস্বীর। ক্রিকেটের বাইরে কোনও কিছুতে মন দিতে হয়নি। পরিশ্রম শুধু নয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে অনুশীলনে জোর দেওয়া হয়। তার মর্যাদাও দিতে থাকে যশস্বী। অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২৩, বয়সভিত্তিক প্রত্যেক বিভাগে আসে ডাবল সেঞ্চুরি। কোচের কথায়, “গত পাঁচ বছরে সব পর্যায় মিলিয়ে ও ৬২টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। যার শেষটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।” বাকিদের থেকে কোথায় আলাদা বাঁ-হাতি ওপেনার? জ্বালার বক্তব্য পরিষ্কার, “দেখুন, ট্যালেন্ট সবার মধ্যেই থাকে। আসল হল মানসিকতা। আর মানসিকতাই তফাত গড়ে দিয়েছে।”

আগামী দিনে এই মানসিকতাই হতে চলেছে ছাত্রের বর্ম, জানিয়ে দিয়েছেন জ্বালা। বললেন, “আমাদের ট্রেন্ড হল, কেউ ভাল খেললেই সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহালির সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেই পর্যায়ে উঠতে গেলে ধারাবাহিক থাকতে হবে, অত বছর ধরে খেলতে হবে, ফিট থাকতে হবে। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেউ সচিন-বিরাট হয় না। যে পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে চলে ওরা এই জায়গায় এসেছে, সেটাকে অনুসরণ করতে হয়। তার মানে নতুন কিছু করা নয়। যেটা করে আসা হচ্ছে, সেটাকেই করতে হয়। এবং নিজেকে আরও উন্নতির রাস্তায় রাখতে হয়। প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করা সহজ নয়। তার জন্য গ্রেটদের পথে চলতে হয়। সচিন সারা জীবন ধরে সঙ্কল্পে দৃঢ় থেকেছে। নম্র থেকেছে। নিজের খেলাকে প্রয়োজনে পাল্টেছে। কোহালিও তা-ই করে চলেছে। নিজের ব্যাটিং নিয়ে পড়ে থেকেছে। নেক্সট বিগ হতে হলে যশস্বীকেও সেটা করতে হবে। মেহনত করতে হবে। ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। শিখতে হবে প্রাক্তনদের থেকে।”

বিশ্বকাপের আগে রাহুল দ্রাবিড়ের এক পরামর্শ যেমন মাথায় গেঁথে নিয়েছেন যশস্বী। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘শ্রীযুক্ত নির্ভরযোগ্য’ বলেছিলেন, “এখন ছোট ছোট সিরিজ হয় একদিনের ক্রিকেটে। যা কখন শেষ হয়ে যাচ্ছে, ধরাই পড়ে না। তাই প্রত্যেক ম্যাচে রান করতে হবে।” অক্ষরে অক্ষরে এই পরামর্শ মেনে চলেন যশস্বী। বিশ্বকাপে তা দেখাও গিয়েছে।

যশস্বীকে শুরুর দিকে ওয়াসিম জাফরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন জ্বালা। ততদিনে ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। জাফরের পরামর্শ ছিল, “রান করা একটা অভ্যাস। এক বার সেই অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে তা যেন চলে না যায়।” দিলীপ বেঙ্গসরকারের কাছেও এমনই পরামর্শ মিলেছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘কর্নেল’ বলেছিলেন, “দিনটা যদি তোমার হয়, তুমি যদি রান করতে থাকো, তবে বড় রানের দিকে যাও। কারণ, প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনেই খারাপ সময় আসবে। আর তখন এই বড় রানই হয়ে উঠবে সুরক্ষাকবচ। দল থেকে বাদ পড়তে দেবে না।”

সচিনের থেকেও এসেছিল টিপস। কী বলেছিলেন লিটল চ্যাম্পিয়ন? সেটা ২০১৮, সবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এসেছেন যশস্বী। তেন্ডুলকর বলেছিলেন, “তুমি অনূর্ধ্ব দলে এসেছো। এটা সবে শুরু। এটা ভিত। এর উপর ইমারত কেমন গড়তে পারবে সেটা তোমার উপর নির্ভর করছে। কতটা দৃঢ়সঙ্কল্প থাকতে পারছ, কতটা পরিশ্রম করতে পারছ, তার উপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।”

ক্রিজে কোচের ছকে দেওয়া তিন পরিকল্পনাও সঙ্গী হয় যশস্বীর। প্রথম, উইকেট দেখো, পরিস্থিতি বিচার করো, তারপর সেই মতো শুরুতে ব্যাট করো। দ্বিতীয়, থিতু হওয়ার পর সিঙ্গলস নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখো। তৃতীয়, তার পর শট নিতে থাকো। যা চিহ্নিত হচ্ছে ‘থ্রি বক্স প্ল্যান’ হিসেবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে অবশ্য সেই পরিকল্পনায় ঘটেছিল অদলবদল। জ্বালা বলেছিলেন, “ও-ই দলের প্রধান ব্যাটসম্যান। তাই দায়িত্ব বেশি ছিল। প্রথম পরিকল্পনা অনুসারে বেশি সময় খেলতে বলেছিলাম। মুম্বইয়ের হয়ে ব্যাট করলে ও কিন্তু এত সতর্ক থাকে না। কারণ, পরের দিকে শ্রেয়াস আইয়ার, আদিত্য তারে, শিবম দুবের মতো অভিজ্ঞরা থাকে। বিশ্বকাপে তাই অনেক পরিণত ব্যাটিং করেছে।”

রঞ্জি ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা নেই এ বার। আইপিএলের প্রস্তুতি তাই শুরু হবে দিন কয়েকের মধ্যে। ডিসেম্বরের নিলামে তাঁকে দু’কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় কিনেছে রাজস্থান রয়্যালস। কতটা সুযোগ পাবেন খেলার, তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই গড়পড়তা ক্রিকেটপ্রেমীর মনে বাজছে দুরুদুরু আশঙ্কা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের কোটি কোটি টাকার হাতছানি ফোকাস সরিয়ে দেবে না তো!

কোচ জ্বালা সিংহের বাড়িতে থেকেই ক্রিকেটসাধনা চলছে যশস্বীর। —নিজস্ব চিত্র।

নিছক কোচ নন, ‘গার্জেন’ হয়ে উঠে এ বার ভরসা দিচ্ছেন জ্বালা। বললেন, “জীবনে আমার মতো যশস্বীও অনেক কঠিন দিন দেখেছে। তাই আমাদের কাছে অর্থই শেষ কথা নয়। ভাল ক্রিকেট খেললেই কিন্তু প্রস্তাব আসবে। সাধনায় মগ্ন থাকার পাশাপাশি নম্র থাকতে হবে, নির্দিষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তবেই বড় কিছু হওয়া সম্ভব। আর এখন থেকেই মাথায় টাকার অঙ্ক ঘুরলে, অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে পড়লে কিছু হবে না। এটা ওকেও বলেছি। আমরা একটা মিশন নিয়ে এগচ্ছি। মন সেই মিশনেই ডুবিয়ে রাখতে হবে। এখন কেমন থাকবে, সেটা জরুরি। আর আমার বিশ্বাস, যশস্বী পাল্টাবে না।”

যশস্বীর সামনে নতুন লক্ষ্য টাঙিয়েও দিয়েছেন কোচ। বলেছেন, জুনিয়র ক্রিকেটের পালা শেষ। এ বার সিনিয়র ক্রিকেটে প্রবেশের সময় এসেছে। যেখানে লড়াই অনেক কঠিন। হেভিওয়েট সব তারকাদের সঙ্গে নামতে হবে টক্করে।

বাইশ গজে নতুন গার্ড নিয়ে নেমেই ফেলেছেন যশস্বী!

আরও পড়ুন: কিউয়ি সিরিজের তিন ম্যাচে রাহুল-শ্রেয়াসের যৌথ রান ৪২১, বাকি সবার মাত্র...​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement