ধর্মসেনার পাশেই দাঁড়াচ্ছে আইসিসি

ইংল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ডের মধ্যে ফাইনালে ওই সিদ্ধান্তের জেরে সমালোচনায় জেরবার হয়েছিলেন ধর্মসেনা। সাইমন টফেলের মতো প্রাক্তন আম্পায়ার পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, ছয় রান দেওয়াটা ঠিক হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

বিতর্ক: সেই ওভারথ্রোয়ে ছ’রান দিচ্ছেন ধর্মসেনা। ফাইল চিত্র

বিশ্বকাপ ফাইনালে ওভারথ্রোয়ে ইংল্যান্ডকে ছয় রান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়া আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার পাশে দাঁড়াল আইসিসি।

Advertisement

ইংল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ডের মধ্যে ফাইনালে ওই সিদ্ধান্তের জেরে সমালোচনায় জেরবার হয়েছিলেন ধর্মসেনা। সাইমন টফেলের মতো প্রাক্তন আম্পায়ার পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, ছয় রান দেওয়াটা ঠিক হয়নি। নিয়মতো ওই ওভারথ্রোয় পাঁচ রান হওয়ার কথা। এর পরে ধর্মসেনা ভুল স্বীকার করে নিলেও জানিয়েছিলেন, তিনি অনুতপ্ত নন। এ বার আইসিসি মুখ খুলল এই বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে।

শনিবার আইসিসির তরফে বলা হয়েছে, ঠিক পদ্ধতি মেনেই ছয় রান দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডকে। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) জেফ অ্যালার্ডিস এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে বলেছেন, ‘‘মাঠের আম্পায়ারদের একটা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছিল। ফিল্ডার থ্রো করার মুহূর্তে ব্যাটসম্যানরা একে অন্যকে পার করে গিয়েছে কি না। ওই বিশেষ ডেলিভারিটায় যে সব ঘটনা ঘটেছিল, তার পরে আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতি মেনে চলেছিলেন আম্পায়াররা।’’

Advertisement

ধর্মসেনার ওই সিদ্ধান্ত এবং ম্যাচে বাউন্ডারি মারার যে নিয়মে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল, তার সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। আইসিসি কর্তা বলেছেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা একে অন্যকে পার করে গিয়েছে কি না, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আম্পায়াররা নিয়মের ব্যাপারটা জানতেন।’’

এখানে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এ ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া হয়নি? এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অ্যালার্ডিস। বলেছেন, ‘‘প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ওই ব্যাপারে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া যেত না। আর ম্যাচ রেফারিও এ ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারতেন না।’’ তবে তিনি এও জানিয়েছেন, পুরো ফাইনাল নিয়েই আইসিসি ক্রিকেট কমিটি আলোচনা করবে। যে কমিটির নেতৃত্বে আছেন অনিল কুম্বলে। তবে ২০২০ সালের আগে এই কমিটি বৈঠকে বসছে না। ম্যাচ এবং সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরেও কোনও ভাবে ইংল্যান্ড-নিউজ়িল্যান্ডকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার ভাবনা আইসিসির ছিল না, তাও জানিয়েছেন অ্যালার্ডিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement