প্রতীকী ছবি।
আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে। যেহেতু শ্রীলঙ্কার মাটিতে এই সিরিজ হচ্ছে, বাড়তি সতর্ক আইসিসি। ম্যাচ গড়াপেটা যাতে কোনও ভাবেই না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখা।
আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল ইংল্যান্ডের ‘দ্য ডেইলি মেল’ সংবাদপত্রকে বলেছেন, ‘‘সাধারণত কোনও সিরিজের আগে আমরা ক্রিকেটারদের বলে দিই কী কী করা যাবে, কী করা যাবে না। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় খেলা হলে আমরা বাড়তি সতর্ক থাকি। ভাল করে বুঝিয়ে দিই, শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাসে ঠিক কী ধরনের ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে, কোথা থেকে জুয়াড়িরা কাজ চালায়, কীভাবে গড়াপেটার প্রস্তাব আসতে পারে। যারা যারা গড়াপেটার প্রস্তাব দিতে পারে, তাদের ছবি আমরা দলের সবাইকে দিয়ে দিই।’’
গত মাসে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে গড়াপেটা নিয়ে তদন্ত করেছে আইসিসি। সন্দেহভাজন দুজনের বিরুদ্ধে তদন্তও হচ্ছে। সম্প্রতি ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে শ্রীলঙ্কার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সনৎ জয়সূর্যর মতো দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট আইকনকে গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। তাঁর দুই বছরের নির্বাসনের মেয়াদ সবে শেষ হয়েছে। জয়সূর্যর উদাহরণ দিয়ে মার্শাল বলেন, ‘‘আমরা সনৎ জয়সূর্যকে নির্বাসিত করেছিলাম। শ্রীলঙ্কায় এটা একটা বড় নাম। ফলে শ্রীলঙ্কায় এখন একটা ভয় তৈরি হয়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় গড়াপেটা এখন ফৌজদারি অপরাধ। ফলে ধরা পড়লে জেল হবেই। জুয়াড়িদের পক্ষে এই ঝুঁকি নেওয়াটা এখন কঠিন হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও আমরা অধিকাংশ অভিযোগ পেতাম শ্রীলঙ্কা থেকে। এখনও অনেক কেসের ফয়সালা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: সৌরভ-বিরাটদের অস্ট্রেলিয়া সফর মানেই যেন ক্রিকেট আর বিতর্কের হাতধরাধরি করে চলা
কিন্তু এরপরেও সতর্ক মার্শাল বলেন, ‘‘এবার গড়াপেটার সম্ভাবনা কম হলেও কোথা থেকে কী হবে কেউ জানে না। ফলে জোর দিয়ে কিছুই বলা যায় না। সব মিলিয়ে ২০১৯ জুলাই থেকে ২০২০ জুলাই পর্যন্ত ৪০-৫০টা কেস আমরা পেয়েছি। মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।’’ তাই মাঠে রুট, করুণারত্নেদের লড়াইয়ের পাশাপাশি মার্শালদের সামলাতে হবে মাঠের বাইরের ল়ড়াই।