স্পোর্টিং ক্লুব ১ (রাজু-সেম সাইড)
মোহনবাগান ১ (ব্রেন্ডন)
গোয়া থেকে প্রত্যাশিত চার পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে মোহনবাগান। যদিও সালগাওকরের বিরুদ্ধে জিতে স্পোর্টিংকেও হারানোর কথা ভেবেই মাঠে নেমেছিলেন সনি, কাটসুমিরা। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং আবারও সেই রাজু গায়কোয়াড়ের ভুলেই ভুগতে হল মোহনবাগানকে। ম্যাচের ফল ১-১। এই নিয়ে আই লিগে দ্বিতীয় সেম সাইড গোল করে ফেললেন রাজু। একে রক্ষণ নিয়ে সমস্যায় বাগান কোচ তার উপর রাজুর এমন ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো দলকে। এই সেম সাইড গোল না হলে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত মোহনবাগান। গোয়া থেকে পুরো ছ’পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে পারত গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ। প্রথমার্ধেই রাজুর সেম সাইড গোলে সমতায় ফেরে স্পোর্টিং। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
• খেলা শেষ। মোহনবাগান ১ - ১ স্পোর্টিং ক্লুব।
• ৯০ মিনিট, কখনও সনি কখনও ওডাফা। দুই দলের দুই বিদেশিকে দেখা যাচ্ছে আক্রমণে উঠতে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ দু’পক্ষই।
• ৮৭ মিনিট, মোহনবাগানের পরিবর্তন। লেনি রডরিগেজের জায়গায় এলেন সৌভিক চক্রবর্তী।
• ৮৬ মিনিট, বল নিয়ে গোলের উদ্দেশে দৌড় শুরু করা ওডাফাকে আটাকেল কিংশুক। কর্নার পেল স্পোর্টিং।
• ৮৫ মিনিট, কাটসুমির শট সরাসরি অরিন্দমের হাতে।
• ৮২ মিনিট, ভিক্টোরিনোর শট বাঁচিয়ে দিলেন দেবজিৎ।
• ৮১ মিনিট, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ফুলগানকো। মাটে এলেন স্পোর্টিংয়ের রাবানন।
• ৭৯ মিনিট, কাউন্টার অ্যাটাকে প্রবীর দাসের শট বাইরে গেল।
• ৭৭ মিনিট, স্পোর্টিং গোলকিপার অরিন্দমকে ফাউল করে স্পোর্টিংকে ফ্রিকিক পাইয়ে দিলেন গ্লেন।
• ৭৭ মিনিট, নর্ডির ফ্রিকিক বাইরে।
• ৭২ মিনিট, কাসুমিকে ফাউল করে ফুলগানকো কারদোজোর হলুদ কার্ড।
• ৭১ মিনিট, স্পোর্টিংয়ে পরিবর্তন। নিকোলাস ফার্নান্ডেজের জায়গায় এলেন অ্যালবার্ট গোনসালভেজ।
• ৬৮ মিনিট, গ্লেন মাটিতে পরে। কিন্তু তেমন কিছু নয়। রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ারই নির্দেশ দিলেন।
• ৬৬ মিনিট, কাটসুমি-সনির বোঝাপড়ায় গোলের সুযোগ তৈরি হয়ে গেলেও গোল আসেনি।
• ৬৩ মিনিট, নিকোলাস ফার্নান্ডেজের পাস ধরে ওডাফার শট জমা হল দেবজিৎ মজুমদারের হাতে।
• ৬০ মিনিট, রাজু গায়োকায়াড়েরল আবার সেম সাইড গোল। প্রথমার্ধে স্পোর্টিংয়ের গোল নিকোলাস ফার্নান্ডেজ করেছে ভাবা হলেও জানা গেল সেটি ছিল মোহনবাগান ডিফেন্ডারের সেম সাইড।
• ৫৯ মিনিট, গ্লেনের শট বাইরে।
• ৫৮ মিনিট, হলুদ কার্ড দেখলেন প্রণয় হালদার।
• ৫৫ মিনিট, সনির বাঁ পায়ের শট সরাসরি জমা হল অরিন্দমের হাতে।
• ৫০ মিনিট, ওডাফার সহজ সুযোগ নষ্ট। ওডাফার গোলমুখি শট ক্লিয়ার করলেন রাজু গায়কোয়াড়।
• দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান ১, স্পোর্টিং ক্লুব ১। শুরুটা যদিও করেছিল মোহনবাগানই। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের গোলে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই ব্যবধান ধরে রাখতে ব্যর্থ সঞ্জয় সেনের রক্ষণ। নিকোলাস ফার্নান্ডেজের গোলে ৩৯ মিনিটেই সমতায় ফেরে স্পোর্টিং। এর পর দু’পক্ষই কিছু হাফ চান্স তৈরি করলেও গোল আসেনি তা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই ঝাঁপাবে জয়ের গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে। যে আগে গোল করে এগিয়ে যাবে মানসিকভাবেও অনেকটাই এগিয়ে থাকবে সে দল। দ্বিতীয়ার্ধে কে করবে বাজিমাত এখন সেটাই দেখার।
• হাফ টাইম।
• ৪৬ মিনিট, পর পর কর্নার কাজে লাগাতে পারল না মোহনবাগান।
• ৪৫ মিনিট, মাঠে পরিবর্ত হিসেবে আসার পর থেকেই মোহনবাগানকে বেগ দিচ্ছেন ভিক্টোরিনো।
• ৪২ মিনিট, ওডাফার সহজ সুযোগ নষ্ট।
• নেমেই গোলের পিছনে ভূমিকা রাখলেন ভিক্টোরিনো। তাঁর ক্রস থেকেই এল সমতার গোল।
• ৩৯ মিনিট, স্পোর্টিংকে সমতায় ফেরালেন নিকোলাস ফার্নান্ডেজ।
• গোওওওওল...
• ৩৪ মিনিট, স্পোর্টিংয়ে প্লেয়ার পরিবর্তন। গনেশ ঠাকুরের জায়গায় এলেন ভিক্টোরিনো ফার্নান্ডেজ।
• ৩২ মিনিট, মোহনবাগানে প্লেয়ার পরিবর্তন। মাঠের বাইরে ব্রেন্ডন। তাঁর জায়গায় এলেন প্রণয় হালদার।
• ৩১ মিনিট, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের চোট।
• প্রায় মাঝমাঠ থেকেই বল টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন সনি নর্ডি। ক্লেমেন্তেকে কাটিয়েই ব্রেন্ডনকে ক্রস রেখেছিলেন তিনি।
• ২৮ মিনিট, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান।
• গোওওওওওল....
• ২৫ মিনিট, কাটসুমির ক্রস স্পোর্টিং ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে সেটা ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়।
• ২১ মিনিট, গ্লেনের সুযোগ। কিন্তু তাঁর শট ডিফেন্ডার ক্লিয়ারল করলেও আবার ফিরতে বলে শট নেন গ্লেন। কিন্তু কোনওরকমে বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার অরিন্দম।
• ২০ মিনিট, কিংশুকের তৎপরতায় আমেনাহর শট বাইরে গেল।
• ১৭ মিনিট, লুসিয়ানো ও ধনাচন্দ্রার মাঝখান দিয়ে গোলের উদ্দেশে বল রেখেছিলেন ঠাকুর। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে সেই বল ক্লিয়ার করলেন বাগান ডিফেন্ডাররা।
• ১৫ মিনিট, গোলের জন্য ছটফট করছেন কাটসুমি।
• ১৩ মিনিট, অসাধারণ দৌড় গ্লেনের। কিন্তু ব্রেন্ডনের শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
• ৯ মিনিট, গোলের সুযোগ স্পোর্টিংয়ের। রউলিনসের সুযোগ নষ্ট।
• ৬ মিনিট, গ্লেনের দূরন্ত দৌড়। কিন্তু জেজে কাজে লাগাতে পারলেন না সেই বল।
• ৫ মিনিট, গোলকিক মোহনবাগানের।
• ২ মিনিট, গনেশ বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বাগান বক্সে। কিন্তু দেবজিতের বিশ্বস্ত হাতে আটকে গেল সেই প্রচেষ্টা।
• ১ মিনিট, শুরুতেই কাটসুমিকে ফাউল করে বসলেন আমনা।
• খেলা শুরু।
গোয়ার মাঠে সালগাওকরকে হারানোর পর এবার মোহনবাগানের সামনে টার্গেট স্পোর্টিং ক্লুব দি গোয়া। সালগাওকরকে ভাস্কোর মাঠে হারানোর পর এবার মারগাঁওয়ে লক্ষ্য স্পোর্টিং। ১০ দিন আগেই ঘরের মাঠে কাটসুমির একমাত্র গোলে জিতেছিল মোহনবাগান। সেই জয়ের ধারাই ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। শেষ ম্যাচে মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করে ফিরেছে স্পোর্টিং। যে স্পোর্টিংয়ে রয়েছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ওকোলি ওডাফা। কলকাতায় এসে হুঙ্কার ছাড়া ওডাফা ঘরের মাঠে সহজে ছেড়ে দেবে না মেরিনার্সদের এটাই স্বাভাবিক। তবে তার জন্যও তৈরি সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড। এর সঙ্গেই গত দুই ম্যাচে ফর্মে ফেরা কর্নের গ্লেনও ভরসা দিচ্ছে মোহনবাগানকে। কিন্তু মোহনবাগানকে ভোগাচ্ছে রক্ষণের অফ ফর্ম। রাজু গায়কোয়াড়, প্রীতম কোটালরা একদমই ফর্মে নেই। যার ফলে গোল করলেও গোল হজম করতে হচ্ছে বাগানকে। তবে স্ট্রাইকারদের দাপটে এখনও হারের মুখ দেখতে হয়নি মোহনবাগানকে।
আরও খবর
শেহনাজের লাল কার্ড, গোয়া থেকে খালি হাতে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল