ট্রাউ ম্যাচে ডার্বির মহড়া সারতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)-এর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে আটকে দেরি হওয়ার জন্য অবশ্য অসন্তুষ্ট নন আলেসান্দ্রো।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬
Share:

প্রস্তুতি: অনুশীলনে মগ্ন মেরার সঙ্গে মনোজ (বাঁ-দিকে)। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার বিকেলে রাজারহাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধ ঘণ্টা পরে এলেন আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। থমথমে মুখ। সঙ্গে সহকারী জোসেপ ফেরে ও স্ট্রাইকার মার্কোস ইউসেবিয়ো খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিন।

Advertisement

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)-এর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে আটকে দেরি হওয়ার জন্য অবশ্য অসন্তুষ্ট নন আলেসান্দ্রো। তিনি ক্ষুব্ধ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি খাইমে সান্তোস কোলাদোকে নির্বাসিত করায়। বললেন, ‘‘কোলাদো সে দিন কিছুই করেনি। ও পঞ্জাব এফসির গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল। কিন্তু বল গোলে ঢোকার ঠিক আগে ওদের এক ডিফেন্ডার হাত দিয়ে আটকায়। অথচ আমাদের পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। হতাশায় কোলাদো যে শট নিয়েছিল, তা এক জনের গায়ে লাগে। কাউকে আঘাত করার জন্য ও বল মারেনি।’’

কোলাদোর নির্বাসন পুরো দলটাকেই যেন ঝাঁকুনি দিয়ে গিয়েছে। কোচের পাশে বসেই ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় স্ট্রাইকার মার্কোস বললেন, ‘‘কোলাদোর না থাকাটা দলের পক্ষে বড় ক্ষতি। ওর অভাব পূরণ করার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সের স্বপ্ন কার্যত শেষ দীপার

যাঁর ছিটকে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ লাল-হলুদ শিবিরে, সেই কোলাদো আছেন খোশমেজাজেই। শুক্রবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ট্রাউ ম্যাচের প্রস্তুতিতে স্পেনীয় তারকাই ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রে। অনুশীলন ম্যাচে কোলাদোকে দলে রেখেই প্রস্তুতি সারলেন আলেসান্দ্রো। কেন? উঠে এল আকর্ষণীয় তথ্য। মার্কোস ও খুয়ান মেরা গঞ্জালেসের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়া তাঁর। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে না পারলেও অনুশীলনে যাতে তিকিতাকার ছন্দ বজায় থাকে, তার জন্যই নির্বাসিত মিডিয়োকে খেলালেন রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলের প্রাক্তন কোচ। শনিবারের প্রতিপক্ষ ট্রাউ হলেও আলেসান্দ্রোর পাখির চোখ আসলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আগামী রবিবারের ডার্বিতে।

কোলাদোর পরিবর্তে কে খেলবেন তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রেখে দিলেন লাল-হলুদ কোচ। এ দিন অনুশীলন ম্যাচে কখনও পরীক্ষা করলেন ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকাকে। কখনও আবার দেখে নিলেন বইথাং হাওকিপকে।

আরও পড়ুন: ‘মারাদোনা ভিন্‌ গ্রহের ফুটবলার’, কিংবদন্তি মেসিও, বলছেন ক্রেসপো

প্রশ্ন উঠছে ট্রাউকে নিয়ে আদৌ কি উদ্বেগের কোনও কারণ রয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে? আই লিগে এই মরসুমে প্রথম দু’টো ম্যাচে জয় অধরা থাকলেও নেরোকা এফসিকে ৪-১ হারিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন কাশিম আইদারারা। লিগ টেবলের সবার শেষে থাকা ট্রাউ প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ০-১ হেরেছে। দু’দিন আগে কল্যাণীতে মোহনবাগান তাদের ০-৪ বিধ্বস্ত করেছে। তার উপরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদিত কোচিং ডিগ্রি না থাকায় রিজার্ভ বেঞ্চে বসা বারণ ডগলাস দা সিলভার। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন ব্রাজিলীয় তারকাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাউ কর্তারা। ডগলাসের সহকারী সুরমণি সিংহ বললেন, ‘‘পরপর দু’টো ম্যাচ হেরেছি। ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করব।’’

ট্রাউয়ের সহকারী কোচ লড়াইয়ের অঙ্গীকার করলেও সতর্ক আলেসান্দ্রো। বললেন, ‘‘জয়ের রসদ রয়েছে ট্রাউ দলে। ম্যাচটা একেবারেই সহজ হবে না।’’

শনিবার আই লিগে: ইস্টবেঙ্গল বনাম ট্রাউ (বিকেল ৫.০০, ডি স্পোর্টস)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement