স্বস্তি: পেনাল্টিতে সমতা ফিরিয়ে ভিক্তর (বাঁ দিকে)। এআইএফএফ
জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। গোকুলম শেষ ৪৫ মিনিট খেলল দশজনে। তা সত্ত্বেও তাদের হারাতে ব্যর্থ হলেন খাইমে সান্তোস কোলাদোরা।
কল্যাণীতে চার্চিল ব্রাদার্সের সঙ্গে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হার বাঁচিয়েছিল মারিয়ো রিভোরার দল। মঙ্গলবারও একই ছবি। শুরুর নয় মিনিটের মধ্যেই দক্ষিণের ক্লাবকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্কোস জোসেফ। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তা শোধ করে ১-১ করে দেন ইস্টবেঙ্গলে নতুন আসা স্পেনীয় মিডিয়ো ভিক্তর পিরেস আলান্সো। বিরতির পর দু’দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল এবং গোকুলমের দুটি করে শট পোস্টে লেগেও ফেরে।
কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা বসে আছেন কলকাতায়। কোন বিদেশিকে বাদ দিয়ে তাঁকে বাকি ম্যাচের জন্য লাল-হলুদ জার্সি দেওয়া হবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এ দিন। কারণ আনসুমানা ক্রোমাকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ নামিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শেষ কুড়ি মিনিট খেলানো হয় লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকারকে। মার্কোস এসপারার জায়গায়।
কল্যাণীতে হেনরি কিসেক্কারা হেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। ফল হয়েছিল গোকুলমের পক্ষে ৩-১। আশা করা গিয়েছিল সেই হারের বদলা নেবেন খুয়ান মেরারা। হল ঠিক উল্টো। শুরুতেই গোল খেয়ে যান সামাদ আলি মল্লিকরা। মার্কোস জোসেফের বাঁক খাওয়া শট গোলে ঢোকে। গোলটার জন্য লাল-হলুদ রক্ষণের সঙ্গে গোলকিপার মিরশাদও দায়ী। এর পরেই রক্ষণ থেকে গুরবিন্দর সিংহকে তুলে নিতে বাধ্য হন দলের কোচ। গোকুলমের পক্ষে ম্যাচ ২-০ করার সুযোগ এরপরই পেয়েছিলেন মার্কোস। হেনরি কিসেক্কা বল বাড়িয়েছিলেন গোকুলম স্ট্রাইকারকে। কিন্তু তা মিরশাদের হাতে লেগে পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। পেনাল্টি থেকে ১-১ করে ইস্টবেঙ্গল। খুয়ান মেরা বল ধরে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। তাকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন গোকুলমের হুলড্রম নওচা সিংহ। রেফারি পেনাল্টি দেন, কার্ডও দেখান দক্ষিণী দলের ডিফেন্ডারকে। বিরতির চার মিনিট পর ফের খুয়ানকেই ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বাইরে চলে যেতে হয় হুলড্রম নওচা সিংহকে। গোকুলম দশ জনে খেলতে শুরু করে। আশা করা গিয়েছিল এই সুযোগ নিতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু নির্ধারতি সময় এবং তার পরের অতিরিক্ত চার মিনিট সময় পেয়েও কিছু করতে পারেননি মার্কোসরা। ম্যাচের শেষ মিনিটে লালকার্ড দেখেন গোকুলমের জোহিব ইসলাম আমিরি।
ইস্টবেঙ্গল: মিরশাদ, গুরবিন্দর সিংহ (রোহলুপুইয়া), আভাস থাপা, সামাদ আলি মল্লিক, মেহতাব সিংহ, কাশিম আইদারা, জুয়ান মেরা গঞ্জালেস, ভিক্টর পিরেজ, ব্র্যান্ডন ভ্যানলালরামডিকা (আভিজিৎ সরকার), মার্কোস এসপাদা (আনসুমানা ক্রোমা), কোলাদো।