হরভজন সিংহ ও কুলদীপ যাদব। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেলেছেন কুলদীপ যাদব। সেই মাঠে যেখানে বল হাতে ওয়ান ডে-তে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কপিল দেব আর টেস্ট ক্রিকেটে হরভজন সিংহ। হরভজন সিংহর সঙ্গে আরও একটা মিল রয়েছে কুলদীপের। দু’জনেরই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বছর পর তাঁরই তৈরি করা মঞ্চে সেই একই সাফল্য তুলে নেওয়া কুলদীপকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং হরভজন। কিছুটা হয়তো আবেগান্বিতও। যেন ফিরে পাওয়া সেই স্মৃতি। হরভজন বলেন, ‘‘সেই প্রতিপক্ষ, সেই সময়, সেই গ্রাউন্ড আর একজন স্পিনার। আমি যখন কুলদীপকে দেখছিলাম বল করতে তখন আমি ফিরে গিয়েছিলাম ২০০১-এর মার্চের সেই দুপুরে। সেই ইডেন গার্ডেন্সে। এটা একটা বড় প্রাপ্তি।’’
আরও পড়ুন
চেতন শর্মা, কপিল দেবের পর হ্যাটট্রিক কুলদীপ যাদবের
অস্ট্রেলিয়ার কাছে এখন ত্রাস কুলদীপ
২১ বছর বয়সে সেদিন ইডেনের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল এক বোলার ও দুই ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। ভাজ্জি বলেন, ‘‘এই বয়সে কেরিয়ারের শুরুতে হ্যাটট্রিক পাওয়াটা আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এটা একটা মাইলস্টোন যেটা সকলের কাছেই সারাজীবনের প্রাপ্তি হয়ে থাকবে।’’ ভাজ্জির কাছে এই ইডেন কতটা লাকি তিনি জানেন। তাঁর মতে, ইডেন কখনও কাউকি ফিরিয়ে দেয় না। আর এই সাফল্য সারাজীবনের বলেই মনে করেন তিনি। এর মধ্যেই বাকি স্পিনারদের জন্য একটা বার্তাও দিয়ে রেখেছেন হরভজন। তিনি বলেন, ‘‘খুব কঠিন হবে সিনিয়র স্পিনারদের ফিরে আসা। যদি বর্তমানে খেলা স্পিনাররা সাফল্য পায় তা হলে সিনিয়র স্পিনারদের ফেরা কঠিন। জাডেজা ও অশ্বিনের জন্য কিন্তু সহজ হবে না।’’
হরভজন রিস্ট স্পিনারদের গুরুত্বের কথাও বলেছেন। তাঁর মতে, রিস্ট স্পিনারদের সুবিধে হল ওরা পরিবেশের উপর নির্ভর করে না। চাহালের বলে গুগলি রয়েছে, কুলদীপ দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারে। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত কোন দুই স্পিনারকে দেখা যাবে সেটা সময়ের উপরই ছাড়তে চান হরভজন। বলেন, ‘‘আমি বিশ্বকাপের কথা বলতে পারব না। এখনও অনেকটাই দেড়ি। কিন্তু ওরা খুব ভাল করছে। আমি ওদের নিয়ে গর্বিত। বাকিটা অপেক্ষা। কতদূর ওরা ওদের ভাল পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারে। আমি ওদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করছি ওরা আরও শক্তিশালী বোলার হয়ে উঠবে।’’