রুপো জয়ের পর নীরজ। ছবি: পিটিআই
প্রথম তিনটি প্রচেষ্টায় প্রত্যাশা মতো জ্যাভলিন ছুড়তে পারেননি। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চেনার ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না নীরজ চোপড়াকে। গোটা দেশের রক্তচাপ বেড়ে গেলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীরজ। রুপো জয়ের পর নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে খুশি নীরজ। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের জন্য রুপোর পদক জিততে পেরে দুর্দান্ত লাগছে। আজ সত্যিই দারুণ আনন্দ হচ্ছে। আগামী বছর আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হবে। আরও ভাল ফল করতে চাই। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, সাই এবং সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হত না। বিদেশি কোচ, বিদেশে প্রশিক্ষণ— সব রকম সহযোগিতা পেয়েছি। এমন সহযোগিতা পেলে সব খেলাই উন্নতি করবে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব।’’
ফাইনালের লড়াই কঠিন ছিল জানতেন নীরজ। সেই লড়াই আরও কঠিন করে তোলে এ দিন ওরিয়নের আবহাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ ছিল অনেকটাই বেশি। জ্যাভলিন ছোড়ার জন্য পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল। নীরজ বলেছেন, ‘‘আবহাওয়া ভাল ছিল না। খুব জোরে হাওয়া বইছিল। যদিও ভাল পারফর্ম করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট। বেশ খুশি। দেশের জন্য পদক জিততে পেরেছি। দেখে মনে হতে পারে অ্যান্ডারসন পিটারস খুব সহজেই ৯০ মিটারের বেশি জ্যাভলিন ছুড়েছে। কিন্তু জিজ্ঞেস করলেই বুঝতে পারবেন ওকে কতটা শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। চলতি মরসুমে বিশ্বে ওই সেরা। দুর্দান্ত জ্যাভলিন ছুড়ছে। বেশ কয়েক বার ৯০ মিটারের বেশি ছুড়েছে। ও ভীষণ পরিশ্রম করতে পারে। আমার জন্যও বছরটা ভালই যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে একটা দারুণ প্রতিযোগিতা রয়েছে।’’
অলিম্পিক্স সোনাজয়ী হিসাবে ফাইনালে কি চাপে ছিলেন? মানতে চাননি নীরজ। তিনি বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন বলে কোনও বাড়তি চাপ আমার উপর ছিল না। তৃতীয় প্রচেষ্টার পরেও নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। পিছন থেকেও ফিরে আসতে পেরেছি এবং রুপো জিতেছি। দারুণ একটা অনুভূতি হচ্ছে। পরের বার চেষ্টা করব পদকের রং পরিবর্তন করতে।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
নীরজ রুপো জিতলেও ভারতের অন্য প্রতিযোগী রোহিত যাদব শেষ করেছেন ১০ নম্বরে। তিনি জ্যাভলিন ছুড়েছেন ৭৮.৬২ মিটার দূরে।