ইডেন সাক্ষী হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের প্রথম গোলাপি বলের টেস্টের। বাংলাদেশের নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচও খেলেছিল ভারতেরই বিরুদ্ধে। ২০০০ সালের সেই ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। তখন যাঁরা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন, সেই ক্রিকেটাররা বর্তমানে কে কী করছেন জানেন?
শাহরিয়ার হোসেন: ২০০০ সালের ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচে ওপেন করেছিলেন। মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১৯৯৯ ছিল তাঁর ক্রিকেট জীবনের সেরা বছর। ওই বছর কেনিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ৯৫ রান করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জে জন্মানো এই ক্রিকেটার চোটের কারণে ২০০৪ সালে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
মেহরাব হোসেন: ১৯৭৮ সালে ঢাকায় জন্ম মেহরাব হোসেনের। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১০১ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মোট ন’টা টেস্ট এবং ১৮ একদিনের ম্যাচ খেলেছেন।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর মারা বল রমন লাম্বার মাথায় লাগে। মৃত্যু হয় রমনের। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মেহরাব। ২০০৩ সালে তিনি টেস্ট এবং ওডিআই থেকে অবসর নেন।
হাবিবুল বাশার: বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর অধিনায়কত্বে অনেকগুলো মাইলস্টোন পার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০০৪ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয় পায় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে টেস্ট থেকে এবং ২০০৭ সালে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-র মুখ্য নির্বাচক।
মহম্মদ আমিনুল ইসলাম: ৫১ বছর বয়সি আমিনুল বাংলাদেশে বুলবুল নামে পরিচিত। দেশের প্রথম টেস্টে শতরান করেন তিনি। টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে ২০০২ সালে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্য।
মহম্মদ আকরাম হুসেইন খান: ১৯৮৮ থেকে ২০০৩ তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে তিনি মোট আটটি টেস্ট এবং ৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০০৩ সালে তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন। বর্তমানে তিনিও বিসিবির নির্বাচকদের দলে রয়েছেন।
আল সাহারিয়া: ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাহারিয়া। ২০০৩ সালে তিনি অন্তর্জাতিক টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে অবসর নেন।
নইমুর রহমান: বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন নইমুর রহমান। তিনি আটটা টেস্ট এবং ২৯টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০০২ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ পার্টির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জ-১ লোকসভা কেন্দ্রের জাতীয় সংসদ সদস্য।
খালেদ মাসুদ: উইকেট কিপার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে তিনি ওয়ানডে থেকে অবসর নেন এবং তার পরের বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
মহম্মদ রফিক: অলরাউন্ডার রফিক বর্তমানে বাংলাদেশি ক্রিকেট কোচ। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার তিনি। ২০০৮ সালে টেস্ট এবং ২০০৭ সালে ওয়ানডে থেকে তিনি অবসর নেন।
হাসিবুল হোসেন: ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচটা টেস্ট এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৩২টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন এই বাংলাদেশি বোলার। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে খেলেন। বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার ছিলেন তিনি।
বিকাশ রঞ্জন দাশ: ২০০০ সালে হওয়া ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এই একটিই মাত্র অন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। চোটের জন্য সে ভাবে আর খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর। পরে ধর্মান্তরিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে কর্মরত।