প্রতীকী চিত্র।
তাঁকে কেন দ্রোণাচার্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হল, সেই প্রশ্নের জবাব চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন হকি কোচ সন্দীপ সঙ্গওয়ান। মঙ্গলবার তিনি এই বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
সঙ্গওয়ান দাবি করেছেন, তিনি হকির সম্মানীয় এবং অভিজ্ঞ কোচ। গত দেড় দশক ধরে যুক্ত রয়েছেন কোচিংয়ের সঙ্গে এবং অতীতে বেশ কয়েকবার জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন। সঙ্গত কারণেই তাঁকে দ্রোণাচার্য সম্মানের জন্য মনোনীত করা উচিত ছিল ক্রীড়াসম্মান সংক্রান্ত নির্বাচক কমিটির সদস্যদের। কিন্তু তাঁর নাম উপেক্ষা করা হয়েছে। এ দিন আদালতে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা এবং স্থায়ী পরামর্শদাতা অনিল সোনি।
সঙ্গওয়ান তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, যে পদ্ধতি মেনে এই সম্মানের জন্য আবেদন করা হয়, সেই পন্থা মেনেই তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের ঘোষণা মেনে মে মাসের শেষেই কাগজপত্র জমা করেন। কিন্তু নির্বাচক কমিটি তাঁর কোচ হিসেবে সমস্ত সাফল্য এবং অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়। আবেদনে তিনি নির্বাচক কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছেন, কোচ হিসেবে তাঁর যে যোগ্যতা রয়েছে, তাতে দ্রোণাচার্য সম্মান ন্যায্য প্রাপ্য ছিল। কিন্তু তিনি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এবং আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
তিনি আরও দাবি করেছেন, এ বার টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় পুরুষ হকি দলের চার খেলোয়াড়কে কোচিং করিয়েছিলেন। এ ছাড়াও অতীতে তাঁর হাত ধরেই উঠে আসা বেশ কিছু খেলোয়াড় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বিশ্বমঞ্চে। এদের মধ্যে একজন পদ্মশ্রী, একজন খেলরত্ন একজন অর্জুন প্রাপকও রয়েছেন। যদিও তাঁদের নাম তিনি উল্লেখ করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি রেখা পল্লি জানিয়ে দেন, আগামী ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন।
এ দিকে, ২৪ নভেম্বর থেকে ভুবনেশ্বরে শুরু হতে চলেছে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ। ভারতীয় দলের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। হকি ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের অন্যতম ডিফেন্ডার সারদানন্দ তিওয়ারি জানিয়েছেন, দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিষয় নিয়ে তাঁরা ভাবছেন না।