BCCI

সৌরভদের মেয়াদ নিয়ে শুনানি আজ

ভারতীয় বোর্ডের তরফে প্রেসিডেন্ট ও সচিবের মেয়াদকাল শুধু বোর্ডের মধ্যেই একটানা ছয় বছর করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদনের শুনানির দিন ফেলেছে আজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

চর্চায়: বোর্ডে সৌরভদের মেয়াদ বাড়ছে কি না, সে দিকেই নজর।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ কি বাড়বে? নাকি লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে তাঁকে এ মাসেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে হবে? বহু চর্চিত এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মিলতে পারে আজ, বুধবার।

Advertisement

ভারতীয় বোর্ডের তরফে প্রেসিডেন্ট ও সচিবের মেয়াদকাল শুধু বোর্ডের মধ্যেই একটানা ছয় বছর করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদনের শুনানির দিন ফেলেছে আজ। লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, সৌরভের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহেই। অমিত শাহ-পুত্র জয়ের মেয়াদ শেষ হয়েই গিয়েছে। লোঢা সংস্কারে বলা আছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা বা বোর্ডে বা দু’টি মিলিয়ে ছয় বছর টানা পদাধিকারী থাকলেই তাঁকে তিন বছরের বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’-এ যেতে হবে। সৌরভ এবং জয়, দু’জনেরই রাজ্য এবং বোর্ড মিলিয়ে ছয় বছর হয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয় বোর্ডের মধ্যে গরিষ্ঠ সংখ্যক কর্তারা মনে করছেন, কার্যত মসনদে বসার আগেই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল সৌরভের। ‘‘গত অক্টোবরে ওঁরা এসেছেন, এ বছরের জুলাইয়ের মধ্যে চলে যেতে হচ্ছে। এই আট মাসের মধ্যে আবার চার মাস কাটল লকডাউনে। যখন সম্পূর্ণ ক্রিকেট প্রক্রিয়াই বন্ধ থাকল,’’ বলছেন কর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বা সচিবের ক্ষেত্রে পদে বসার পরে ছয় বছরের মেয়াদ করা হোক শুধু বোর্ডেই। একটানা ছয় বছর পদে থাকার পরে তাঁদের পাঠানো হোক বিশ্রামে। এই আবেদন যদি মঞ্জুর হয়, তা হলে সৌরভেরা বোর্ডের পদে থাকতে পারবেন ২০২৫ পর্যন্ত।

Advertisement

কোনও কোনও কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘বোর্ডে যেতে গেলেও একজন প্রশাসককে রাজ্য সংস্থায় অনেকটা সময় কাটিয়ে যেতে হয়। দেখা যাবে, বোর্ডের পদে বসতে বসতেই কুলিং অফের সময় হয়ে যাচ্ছে। কখনওই তাই অভিজ্ঞ কাউকে বোর্ডের পদে পাওয়া যাবে না। এ সব কথা ভেবেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: আইপিএল-এর ভেন্যু আমিরশাহি, গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে স্থির হবে সূচি, জানালেন ব্রিজেশ পটেল

বোর্ডে যে লোঢা সংস্কার হয়েছিল, তা অবশ্য দীর্ঘ দিন ধরে কয়েক জন প্রশাসকের ক্ষমতা ধরে রাখার জেরে। অনেক রাজ্য সংস্থায় ৩০-৩৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন ছিলেন কেউ কেউ। বোর্ডের মসনদ এক বার পেলে ছাড়তে চাইছিলেন না শ্রীনিবাসনের মতো কর্তা। সে সব বন্ধ করতেই এসেছিল লোঢা কমিটির সুপারিশ। সুপ্রিম কোর্ট তাদেরই পুরনো রায়কে বদল করবে কি না, সে দিকে অনেকেই তাকিয়ে রয়েছেন। আরও নানা কৌতূহল রয়েছে। সৌরভের মেয়াদ বোর্ডে শেষ হয়ে গেলে কি তিনি আইসিসি প্রধানের পদের দিকে এগোতে পারেন? সেই প্রশ্নও রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement