আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট ইংল্যান্ড শিবির। অবাক করা এই স্কোরকার্ডের মতো ক্রিকেটে ছড়িয়ে রয়েছে এমন কিছু স্কোরবোর্ড যা অবাক করে দেবে। দেখে নেওয়া যাক ক্রিকেটের এমনই কিছু স্কোরবোর্ড।
কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চলছিল উত্তরপ্রদেশের। এই ম্যাচে তিন জন শতরান করেন। একই ম্যাচে পাঁচ জন শূন্য রানে আউট হয়ে যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনও ম্যাচে তিনটে শতরান সত্ত্বেও সবথেকে কম রান মাত্র ৩৪৯ হয় এই ম্যাচে।
১৯৫০-’৫১ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র ৩২ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায়। এরপর তাঁরা ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে। ইংল্যান্ডের জেতার জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৯৩ রান। গাব্বায় আবহাওয়া খারাপ থাকায় ব্যাটিং করা অসম্ভব হয়ে ওঠে এবং ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১২২ রানে।
মহিলা বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক জন্য খেলা চলছিল বারমুডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার। মাত্র ১৩ রানে শেষ হয়ে যায় বারমুডার প্রথম ইনিংস। এর মধ্যে ১০ রান আবার অতিরিক্ত হিসেবে হয় ও তিন রান হয় সিঙ্গলস হিসেবে। এই তিন রান নেন তিন আলাদা খেলোয়াড়।
১৯৭৭ সালে সোয়ানসিতে খেলা চলছিল ওর্স্টারশায়ার বনাম গ্ল্যামারগনের। ওর্স্টারশায়ার এর প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৬৯ রানে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার গ্লেন টার্নার একাই করেন ১৪১ রান। টার্নার এর পর দলের দশ নম্বর ক্রিকেটার নরম্যান গিফর্ড করেন ৭ রান যা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
১৯৪৭ সালে এসেক্স ও ডার্বিশায়ার এর ম্যাচ চলছিল। এসেক্স ২২৩ রানে পিছনে ছিল। ব্যাট করছিল শেষ জুটি পিটার স্মিথ ও ফ্র্যাঙ্ক ভিগার। স্মিথের অসামান্য ১৬৩ রানের জন্য এই শেষ উইকেটে ২১৮ রান করে এসেক্স। পিটার স্মিথের ১৬৩ রান ১১ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে কোনও প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সর্বাধিক।
১৯৫৬ সালে ম্যাচ চলছিল ল্যাঙ্কাশায়ার এবং লেস্টারশায়ারের। ল্যাঙ্কাশায়ার প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬৫ রানের টার্গেট কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলে দেয় ল্যাঙ্কশায়ার। দুই ইনিংসে ল্যাঙ্কাশায়ার-এর কোনও উইকেট পড়েনি এবং তাঁরা ম্যাচ জিতে যায়।
এজবাস্টনে ১৯২২ সালে ওয়ারউইকশায়ার বনাম হ্যাম্পশায়ার-এর ম্যাচে ওয়ারউইকশায়ার প্রথম ইনিংসে করে ২২৩ রান। হ্যাম্পশায়ার মাত্র ১৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাম্পশায়ার ৫২১ রান করে ওয়ারউইকশায়ার-এর সামনে ৩১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে। অর্ধেক রানে পৌঁছানোর আগেই গুটিয়ে যায় ওয়ারউইকশায়ার এর ইনিংস। এত কম রানে অলআউট হয়ে জেতার নজির আর নেই।
গ্লেন টার্নারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন ক্লাইভ রাইস। ১৯৮১ সালে হ্যাম্পশায়ার-এর বিরুদ্ধে নটিংহ্যাম্পশায়ার-এর প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের মধ্যে ক্লাইভ একাই করেন ১০৫ রান। তিনি ছাড়া একমাত্র টিম রবিনসন দুই অঙ্কের ঘরে নিজের স্কোর নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পাকিস্তান রেলওয়ে ও ডেরা ইসমাইল খান দলের মধ্যে ম্যাচে পাকিস্তান রেলওয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৯১০ রান করেন। কিন্তু অভিষেক হওয়া দল ডেরা ইসমাইল খান দল দুই ইনিংস মিলিয়ে করে ৩২ ও ২৭ রান। পাকিস্তান রেলওয়ে ম্যাচটি জিতে যায় ইনিংস এবং ৮৫১ রানে। এত বিশাল ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর নেই।