অস্ট্রেলিয়া ও ভারত— টেস্টে গত বছর অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে দুই দল। তাদের পারফরম্যান্সকেই স্বীকৃতি দিয়ে বর্ষসেরা টেস্ট দলে ঘোষণা করল আইসিসি। দলে রাখা হয়েছে পাঁচ অজি ও দুই ভারতীয় তারকাকে। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই দলে নেই কোনও ভারতীয় বোলার। দেখে নেওয়া যাক কেমন হল আইসিসি-র সেই দল।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল: ২০১৮-এর একেবারে শেষ দিকে, ২৬ ডিসেম্বর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এই ভারতীয় ওপেনারের। তারপর থেকে ৯টি টেস্টে ৬৭-এর উপর ব্যাটিং গড়ে ভারতের ওপেনিংয়ে ভরসা দিয়ে চলেছেন ময়াঙ্ক। আইসিসি-র দলেও ওপেন করবেন তিনিই।
টম লাথাম: তিনটি সেঞ্চুরি-সহ এই বছরটা খুবই ভাল কেটেছে এই কিউয়ি ওপেনারের। নিউজিল্যান্ডকে বহু ক্ষেত্রে একাই রক্ষা করেছেন তিনি। দলে দ্বিতীয় ওপেনার হিসাবে তাঁকেই রেখেছে আইসিসি।
মার্নাস লাবুশানে: কনকাশান সাব থেকে একেবারে দলের সেরা ব্যাটসম্যান— মার্নাস লাবুশানের উত্থান সত্যিই চমকে দেওয়ার মতোই। স্মিথের বদলি হিসাবে নামার আগে পর্যন্ত টেস্টে তাঁর কোনও সেঞ্চুরিই ছিল না। তার পর থেকে শুধু রানই করে গিয়েছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ৬৩-এর বেশি গড়ে ইতিমধ্যেই ১৪৫৯ রান করে ফেলেছেন তিনি।
বিরাট কোহালি: ওয়ান ডে-র মতো আইসিসি-র বর্ষসেরা টেস্ট দলেরও অধিনায়ক বিরাট কোহালি। টেস্টে ইতিমধ্যেই ২৭ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। টেস্টে গড় প্রায় ৫৫। এই দলের চার নম্বরে থাকছেন তিনি।
স্টিভ স্মিথ: বিরাটের পরই থাকছেন এই অজি ডানহাতি। টেস্টে অনেকেই স্মিথকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের তকমা দেন। ৬৩ গড়ে সাত হাজারেরও বেশি রান করা স্মিথের রয়েছে ২৬টি সেঞ্চুরি।
বেন স্টোকস: ওয়ান ডে-র মতো টেস্ট দলেরও একমাত্র অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ৬১ টেস্টে ৩৬-এর উপর ব্যাটিং গড়, সঙ্গে ১৪২ উইকেট, ব্রিটিশ এই অলরাউন্ডার যে কোনও দলেরই সম্পদ।
বিজে ওয়াটলিং — ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটে ওয়াটলিংয়ের। ৬৮টি টেস্ট ম্যাচ থেকে ৩,৬৪৪ রান করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন ওয়াটলিং (২০৫)।
প্যাট কামিন্স: আইসিসি-র টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে কামিন্স শীর্ষে। আগের থেকেও তিনি পরিণত। ২০১৯ সালে ৯৯টি আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন এই অজি বোলার। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বছরে সব চেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এই অজি পেসারই।
মিচেল স্টার্ক: ভাল ছন্দে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি এই পেসার। নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে যথেষ্ট বেগ দিয়েছেন এই বাঁ হাতি বোলার। ৫৭টি টেস্ট ম্যাচ থেকে স্টার্কের সংগ্রহ ২৪৪টি উইকেট।
নিল ওয়্যাগনার: ৪৭টি টেস্ট ম্যাচ থেকে ২০৪টি উইকেটের মালিক ওয়্যাগনার। অজিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ওয়্যাগনার ২০০টি উইকেট নেন।
নাথান লায়ন: সম্প্রতি লায়নের স্পিন সামলাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৯৬টি টেস্ট ম্যাচ থেকে ৩৯০টি উইকেট নেওয়া হয়ে গিয়েছে এই অফ স্পিনারের। নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ভালই জানেন তিনি। বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটেন না।