‘‘আমার বাবা রাজ্য স্তরের ভারোত্তোলক ছিলেন। কখনও নিজে চোখে বাবাকে খেলায় অংশ নিতে দেখিনি, তবে অনেক গল্প শুনেছি। উনিই আমার প্রেরণা,’’ বলেন গর্বিত পিতার গর্বিত কন্যা।
বিশ্বসেরা: গ্রিসে কীর্তি ভারতের হর্ষদার (সামনে)। সঙ্গী কোচ।
গ্রিসে বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ঐতিহাসিক সোনা উপহার দিলেন হর্ষদা শারদ গারুদ। ১৮ বছরের মেয়ে ভারতের প্রথম ভারোত্তোলক হিসেবে জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়নে সোনা জিতলেন।
মেয়েদের ৪৫ কেজি বিভাগে মোট ১৫৩ কেজি ওজন (৭০+৮৩) তুলে সোনা জেতেন তিনি। এই বিভাগে হর্ষদার প্রতিপক্ষ ছিলেন তুরস্কের বেকটাস কানসু এবং মলডোভার হিনসু লুমিনিতা। স্ন্যাচ বিভাগে ৭০ কেজি ওজন তুলে দুই নম্বরে ছিলেন হর্ষদা। কিন্তু ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ৮৩ কেজি ওজন তুলে সোনা নিশ্চিত করে ফেলেন ভারতের মেয়ে।
এর আগে এই জুনিয়র আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে পদক জিতেছিলেন মীরাবাই চানু এবং অচিন্তা শেউলি। বিশ্ব প্রতিযোগিতার আগে পাতিয়ালা সাইতে মহড়া চলেছিলে হর্ষদাদের। সেখানে মীরাবাই চানুর পরামর্শ পান তাঁরা। ‘‘আমি কতটা খুশি বলে বোঝাতে পারব না। নিজের মনের মধ্যে কী চলছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না,’’ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ফোনে বলেছেন হর্ষদা। বাবার ইচ্ছায় ভারোত্তোলনে যোগ দেন তিনি। ২০২০-তে খেলো ইন্ডিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন। ‘‘আমার বাবা রাজ্য স্তরের ভারোত্তোলক ছিলেন। কখনও নিজে চোখে বাবাকে খেলায় অংশ নিতে দেখিনি, তবে অনেক গল্প শুনেছি। উনিই আমার প্রেরণা,’’ বলেন গর্বিত পিতার গর্বিত কন্যা।