রাজকোটে ক্রিকেট ম্যাচ নির্বিঘ্ন রাখতে হার্দিক পটেলকে আটক করল গুজরাতের পুলিশ। শিক্ষা ও চাকরিতে পটেল সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনরত হার্দিক হুমকি দিয়েছিলেন, রাজকোট স্টেডিয়ামে ঢুকে সরকারি বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাবেন। স্টেডিয়ামে ঢুকতে না দেওয়া হলে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলকেও তাঁরা স্টেডিয়ামে পৌঁছতে দেবেন না। বলেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
পতিদার অনামত আন্দোলন সমিতির ৫০ হাজার সমর্থককে রবিবার রাজকোটে জমায়েত হওয়ার ডাক দেন হার্দিক পটেল। তবে রাজকোটে ঢুকতেই পুলিশ হার্দিক এবং আরও ছ’জনকে আটক করে। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম সকাল থেকেই দুর্গের চেহারা নিয়েছিল। পুলিশ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা রাজকোট শহর। শনিবার রাত থেকে রাজকোটে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও। সোশাল সাইট ব্যবহার করে যাতে আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। হার্দিক পটেল জানিয়েছিলেন, তাঁরা টিকিট কেটেছেন খেলার সময় স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য। বিদেশি ক্রিকেটারদের সামনেই প্রতিবাদ করে তাঁরা গোটা বিশ্বকে জানাতে চান, কীভাবে ভারতের সরকার বৈষম্য করছে পটেলদের সঙ্গে। স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা পেলে রাজকোটে পথ অবরোধ করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার টিম বাস আটকে দেওয়া হবে বলে হার্দিক ঘোষণা করেন। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ নির্বিঘ্নে শুরু করানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল গুজরাতের প্রশাসনের কাছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় গোটা স্টেডিয়াম এবং শহরকে মুড়ে দিয়েও স্বস্তি পায়নি সরকার। হার্দিককে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।