আইপিএলের সর্বকালের সেরা এগারো বেছে নিলেন হার্দিক পান্ড্য। কিন্তু সেই দল নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নিয়ম অনুসারে প্রথম এগারোয় চার জন বিদেশি থাকতে পারেন। কিন্তু, হার্দিক রেখেছেন পাঁচ জনকে। তা ছাড়া দলে নিজেকেও রেখেছেন তিনি। ক্রিকেটপ্রেমীরা তা নিয়েও সোচ্চার। এ ছাড়া হার্দিকের দলে থাকা কয়েক জন ক্রিকেটারের পরিবর্তে অন্য নাম তুলে ধরছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে হার্দিকের গড়া আইপিএলের সেরা এগারো ঝড় তুলেছে ক্রিকেটমহলে।
হার্দিকের দলে ওপেন করবেন ক্রিস গেল। ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি ওপেনার নিজের দিনে ধ্বংস করতে পারেন যে কোনও বোলিং আক্রমণকে। কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। তবে কেউ কেউ ডেভিড ওয়ার্নার, শেন ওয়াটসন বা লোকেশ রাহুলের নামও তুলছেন ওপেনারের জায়গায়।
ওপেনিংয়ে গেলের সঙ্গী হবেন রোহিত শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে চার বার আইপিএল জিতেছেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় সফলতম অধিনায়ক তিনি। আর হিটম্যান যে কেমন ঝড় তুলতে পারেন ব্যাট-হাতে, তাও জানা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
তিনে নামবেন চেজমাস্টার বিরাট কোহালি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিই গায়ে চাপিয়েছেন। রান তাড়ায় অবিশ্বাস্য দক্ষতা রয়েছে তাঁর। আবার প্রথমে ব্যাট করে বড় রানে দলকে পৌঁছেও দেন। তবে একটাই আফশোস, আইপিএলে ট্রফি কখনও ওঠেনি তাঁর হাতে।
চারে এবি ডি ভিলিয়ার্স। যখন যে দলের হয়েই আইপিএলে নেমেছেন প্রোটিয়া, বিপক্ষ বোলারদের উপহার দিয়েছেন আতঙ্ক। ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান বলা হয় তাঁকে। মাঠের যে কোনও প্রান্তে বল পাঠাতে পারেন বিস্ময়কর ভঙ্গিতে। তাঁকে আটকে রাখা কার্যত অসম্ভব।
সুরেশ রায়নার রেকর্ড আইপিএলে দুর্দান্ত। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে রীতিমতো ধারাবাহিক তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারীর তালিকায় তিনি আছেন। হার্দিকের মিডল অর্ডারে তিনিই একমাত্র বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
এর পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ক্রিকেটমহলের অনেকের মতে, তিনিই সর্বকালের সেরা ফিনিশার। ব্যাট হাতে ধুমধাড়াক্কা তো বটেই, এই দলের উইকেটকিপার তিনি। তিনি দলের অধিনায়কও। ‘ক্যাপ্টেন কুল’-ই দলের থ্রি-ডি ক্রিকেটার। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে তিন বার আইপিএল জিতেছেন তিনি।
এর পর অলরাউন্ডার। নিজের গড়া সেরাদের দলে নিজেকেই রেখেছেন হার্দিক। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে খেলেই প্রথম নজর কেড়েছিলেন তিনি। তবে এই দলে তাঁর উপস্থিতি বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, কেন আন্দ্রে রাসেল বা ডোয়েন ব্র্যাভোর মতো অলরাউন্ডাররা দলে নেই।
এর পর রহস্য স্পিনার সুনীল নারিন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে অসাধারণ পারফরম্যান্স রয়েছে তাঁর। একার হাতে অজস্র ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর বলের রহস্য এখনও ব্যাটসম্যানদের রাখে ধাঁধায়। পাশাপাশি, ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি বড় শট নিতে পারেন।
আফগানিস্তানের রিস্টস্পিনার রশিদ খান রয়েছেন হার্দিকের দলে। এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখনও আইপিএলে হরভজন সিংহ বা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাফল্যের ধারেকাছে নেই রশিদ, বলছেন তাঁরা। তা ছাড়া লেগস্পিনার হিসাবে অমিত মিশ্রের পারফরম্যান্সও অসাধারণ।
জশপ্রীত বুমরা রয়েছেন হার্দিকের দলে। নতুন বলের পাশাপাশি ডেথ ওভারে তিনি দলের ভরসা। গতির হেরফের ঘটিয়ে, নিয়মিত ইয়র্কারের সুবাদে তিনি ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করে তোলেন। যে কোনও দলের সম্পদ তিনি।
নতুন বলে দৌড় শুরু করবেন লাসিথ মালিঙ্গাও। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে শ্রীলঙ্কার এই পেসারের সাফল্য ঈর্ষণীয়। স্লিং অ্যাকশনের জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে রান করা মুশকিল। আর হার্দিক, বুমরার মতো মালিঙ্গাও রোহিতের মুম্বইয়ের সদস্য।