চহালের সঙ্গে হার্দিক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
পিঠের চোটে প্রায় ছয় মাস বাইরে ছিলেন। দেশের জার্সি শেষ বার গায়ে চাপিয়েছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। চোট সারিয়ে উঠতে এতদিন লাগার কারণ হিসাবে মানসিক সমস্যার কথা বললেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য।
২৬ বছর বয়সি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের দলে রয়েছেন। হার্দিক মেনে নিয়েছেন যে, দ্রুত মাঠে ফেরার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। আর সেটাই তাঁকে মানসিক চাপে ফেলে দিয়েছিল। ‘চহাল টিভি’-তে সতীর্থ যুজভেন্দ্র চহালকে হার্দিক বলেছেন, “গত ছয় মাসে এই আবহই সবচেয়ে বেশি মিস করেছি। দেশের হয়ে খেলা, দলের জার্সি গায়ে চাপানোর অনুভূতি পাইনি। এটাই মানসিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল। অনেক ধাক্কাও পেরিয়ে আসতে হয়েছে। চাইছিলাম দ্রুত পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পেতে। কিন্তু তা ঘটেনি। ফলে, মানসিক ভাবে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যের হল, শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে। এই সময়ে প্রচুর মানুষের সাহায্যও পেয়েছি।”
আরও পড়ুন: ক্রীড়া সচিবের মন্তব্যে আরও সংশয়ে আইপিএলের ভবিষ্যৎ
আরও পড়ুন: লাঞ্চের পর ফিরলেন সুদীপ-ঋদ্ধি-শাহবাজ, রাজকোটে রঞ্জি ফাইনালে চাপে বাংলা
ডিওয়াই পাটিল টি-২০ প্রতিযোগিতায় কয়েকটা বিস্ফোরক ইনিংস খেলে জাতীয় নির্বাচকদের দৃষ্টি ফের আকর্ষণ করেন হার্দিক। দুটো ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেন তিনি। নেন পাঁচ উইকেটও। সেই প্রতিযোগিতায় নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে হার্দিক বলেছেন, “এটা জরুরি ছিল। ছয় মাসেরও বেশি খেলিনি। অথচ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য এটা দরকার ছিল। অনুশীলন যতই করা হোক না কেন, ম্যাচে খেলার ব্যাপারই আলাদা। আমি তাই খেলায় মন দিয়েছিলাম। আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকল ধীরে ধীরে। ছয় মারতে লাগলাম। ভাবলাম মারতে যখন পারছি, তখন গুটিয়ে থাকব কেন। কখনই ভাবিনি যে এক ইনিংসে ২০টা ছয় মারব!”