ব্যানক্রফ্ট-কে কেন কম শাস্তি, প্রশ্ন তুললেন হরভজন।
বল বিকৃতি কাণ্ডে আইসিসি-কে একহাত নিলেন হরভজন সিংহ। ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট-কে যে ভাবে শুধুমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে আইসিসি, সেটাই মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় অফস্পিনার।
আইসিসি-কে রীতিমতো ব্যঙ্গ করে রবিবার হরভজন টুইট করেন, ‘বাহ্ আইসিসি বাহ্! দারুণ কাজ দেখালে। নিরপেক্ষ বিচার হল বটে! যাবতীয় প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও ব্যানক্রফ্ট-কে নির্বাসিত করা হল না। অথচ, অতিরিক্ত আবেদন করার জন্য, কোনও প্রমাণ ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের ৬ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছিল ২০০১ সালে। তার পরে ২০০৮ সালের সিডনি মনে আছে তো? দোষী প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তিন ম্যাচ নির্বাসনে যেতে হয়েছিল। এক এক জনের জন্য এক এক রকম নিয়ম।’
সেই ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল বিকৃতির অভিযোগে সচিন তেন্ডুলকর-কে শাস্তি দিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি মাইক ডেনেস। হরভজন-সহ বাকি পাঁচ ক্রিকেটারের বিভিন্ন কারণের জন্য শাস্তি হয়। যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এর পরে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনিতে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন হরভজন। যে ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে ‘মাঙ্কিগেট’ হিসেবে কুখ্যাত হয়ে আছে। দুই ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সেই ঘটনা টেনে এনে এ বার আইসিসি-কে একহাত নিলেন হরভজন। আরও এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এই নিয়ে মুখ খেলেছেন। তিনি বিষাণ সিংহ বেদী। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম দুঃখজনক ঘটনা হয়ে থাকল এই বল বিকৃতি কেলেঙ্কারি।’’
তবে শুধু হরভজন নন, আইসিসি-র সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও। তিনি টুইট করেন, ‘এক ম্যাচ নির্বাচন আর একশো শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হল স্মিথের!! ৭৫ শতাংশ জরিমানা হল ব্যানক্রফ্টের। আর তিনটে ডিমেরিট পয়েন্ট। প্রতারণার কী জঘন্য শাস্তি! এটাই তো সময় ছিল একটা উদাহরণ তুলে ধরার।’