Harbhajan Singh

আমার কেরিয়ারে নেমেসিস ছিল হরভজন, স্বীকারোক্তি গিলক্রিস্টের

২০০১ সালে ভারতে এসে তিন টেস্টের সিরিজ ১-২ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ধাক্কা খেয়েছিল স্টিভ ওয়ের দল। সেই সিরিজেরই প্রথম টেস্টে মুম্বইয়ে আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরি করেছিলেন গিলক্রিস্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৩১
Share:

হরভজন সিংহ ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিংহকে তাঁর ‘নেমেসিস’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। কেরিয়ার জুড়ে তাঁকে সমস্যায় ফেলেছেন ভারতীয় অফস্পিনার, স্বীকার করেছেন তিনি।

Advertisement

২০০১ সালে ভারতে এসে তিন টেস্টের সিরিজ ১-২ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ধাক্কা খেয়েছিল স্টিভ ওয়ের দল। সেই সিরিজেরই প্রথম টেস্টে মুম্বইয়ে আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরি করেছিলেন গিলক্রিস্ট। যে ইনিংস টানা ১৬ টেস্ট জিতিয়েছিল অজিদের। কিন্তু তার পরের দুই টেস্ট জিতে সিরিজ দখল করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত।

মুম্বই টেস্টের স্মৃতি রোমন্থন করে গিলক্রিস্ট বলেছেন, “৯৯ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আমাদের। তখনই ক্রিজে গিয়েছিলাম। ৮০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলাম। সেই টেস্ট আমরা তিন দিনে জিতেছিলাম। তখন ভেবেছিলাম, ৩০ বছর ধরে এটা কেন করা গেল না? এটা তো কত সোজা। আমি যে কত ভুল ছিলাম সেটা বুঝলাম পরে। পরের টেস্ট ম্যাচেই বাস্তবের মুখোমুখি হলাম।”

Advertisement

আরও পড়ুন: স্মৃতি মন্ধানার ছবিতে কাজল-লিপস্টিক! ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা​

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ধোনিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি ঋদ্ধির সামনে​

মুম্বইয়ে অস্ট্রেলিয়া জেতার পর যা হয়েছিল, তা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরন্তন হয়ে রয়ে গিয়েছে। গিলক্রিস্ট বলেছেন, “সেই সিরিজের পর আমরা উপলব্ধি করেছিলাম যে, সব সময় আক্রমণ আর আক্রমণ করে গেলেই চলবে না। আমাদের দরকার হ্যান্ডব্রেক। হরভজন আমাদের বোকা বানিয়েছিল। কেরিয়ার জুড়েই ও ছিল আমার নেমেসিস। হরভজন আর মুরলী হল আমার খেলা সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন দুই বোলার।” প্রাচীন গ্রিক দেবীর নাম নেমেসিস।

সেই সিরিজে তিন টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন সিংহ। ইডেনে প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সিরিজের সেরাও হয়েছিলেন তিনি। সেই টেস্ট সিরিজের পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিতে এসেছিল পরিবর্তন। ৪৭ বছর বয়সি গিলক্রিস্ট বলেছেন, “এর পর অনেকটা পাল্টে ফেলেছিলাম আমাদের খেলার ধরন। ২০০১ সালে শিখেছিলাম যে পরিস্থিতি যেমনই হোক, সবসময় আক্রমণ করে গেলে চলবে না। নিজেদের ইগো গিলে ফেলে রক্ষণাত্মক হতে হয়েছিল আমাদের। আর সেটা সামগ্রিক ভাবে পুরো দলেরই হয়েছিল। বোলাররা যেমন এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছিল মানসিক ভাবে আর নতুন বল হাতে একটা স্লিপ ও লেগে সুইপার রেখে দৌড়ে আসছিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement