তারকা: জোড়া গোল করে জেতালেন হিগুয়াইন। এএফপি
বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক দলও ভাঙতে পারল না য়ুভেন্তাস-প্রাচীর।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে মুখোমুখি হয় য়ুভেন্তাস ও মোনাকো। আক্রমণ বনাম ডিফেন্সের লড়াই হিসেবেই ম্যাচটা ধরা হয়েছিল। যে ম্যাচে ২-০ জিতল য়ুভেন্তাস। মোনাকোর ঘরের মাঠে দুটো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল করলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন।
প্রথমার্ধের শুরুর থেকেই সেই ডিপ ডিফেন্সে খেলতে থাকে য়ুভেন্তাস। লিওনার্দো বোনুচ্চি, আন্দ্রেয়া বারজাগলি ও জর্জে কিয়েল্লিনির স্বপ্নের ত্রিফলা আটকে রাখেন কিলিয়ান এম’বাপে, রাদামেল ফালকাওয়ের মতো আক্রমণাত্মক ফুটবলারদের। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি গোল করে য়ুভেন্তাসকে ১-০ এগিয়ে দেন হিগুয়াইন। বিরতির পরে আর্জেন্তিনীয় তারকার দ্বিতীয় গোলের পরে ম্যাচটা এক তরফা লড়াইয়ে পরিণত করে য়ুভেন্তাস। শত চেষ্টাতেও গোল করতে পারেনি মোনাকো। দুর্দান্ত কয়েকটা সেভ করেন য়ুভেন্তাসের কিংবদন্তি গোলকিপার জিয়ানলুইগি বুফন।
প্রথম পর্বে দুটো অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকলেও ফাইনালের স্বপ্ন এখনই দেখছেন না য়ুভেন্তাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। ‘‘খুব কঠিন লড়াই ছিল। কিন্তু আমরা ভাল খেলেছি। যদিও টাই এখনও শেষ হয়নি,’’ বলছেন আলেগ্রি। মরসুম শুরুতে প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে হিগুয়াইন-কে সই করেছিল য়ুভেন্তাস। সেরি আ-তে তিনি গোল পেলেও ইউরোপের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ সাত ম্যাচে কোনও গোল পাননি আর্জেন্তিনীয় স্ট্রাইকার। গোলে ফিরে উচ্ছ্বসিত সন্তুষ্ট হিগুয়াইন। ‘‘গোল পাচ্ছিলাম না চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। আজ দুটো গোল করতে পেরে আমি খুশি,’’ বলছেন মোনাকো বধের নায়ক।