Paris Olympics 2024

নামছেন দশম অলিম্পিক্সে, বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে নজির জর্জিয়ার ৫৫ বছরের শ্যুটারের

অলিম্পিক্সে এক বার যোগ্যতা অর্জন করতে গিয়েই অনেকের প্রচুর সময় লেগে যায়। তবে নিনো সালুকভাজে তাঁদের থেকে আলাদা। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ হিসাবে দশম অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ২১:০৪
Share:

নিনো সালুকভাজে। ছবি: এক্স।

অনেক সাধ্য-সাধনা, পরিশ্রমের পর হয়তো এক বার অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা যায়। নিনো সালুকভাজে ব্যতিক্রম। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ হিসাবে দশম অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। জর্জিয়ার ৫৫ বছরের এই মহিলা শ্যুটার জানিয়েছেন, এই মাইলফলক স্পর্শ করে তিনি বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে চান।

Advertisement

১৯৮৮ সালের সোল অলিম্পিক্সে অভিষেক হয়েছিল ১৯ বছরের নিনোর। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে ২৫ মিটার পিস্তলে সোনা এবং ১০ মিটার পিস্তলে রুপো পেয়েছিলেন। এর পর বার্সেলোনা, আটলান্টা, সিডনি, এথেন্স, বেজিং, লন্ডন, রিয়ো দি জেনিরো এবং টোকিয়ো, আর কোনও অলিম্পিক্স বাদ দেননি। বেজিংয়ে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। ১০ বার অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করে তিনি কানাডার ইকুয়েস্ট্রিয়ান ইয়ান মিলারের নজির স্পর্শ করেছেন।

অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির ফাঁকে সংবাদ সংস্থাকে নিনো বলেছেন, “দশটা অলিম্পিক্স! মনে হচ্ছে একটা গোটা জীবন কেটে গেল। প্রথম অলিম্পিক্সের পর কখনও ভাবিনি আরও ন’টায় অংশ নেব। এত দিন কী ভাবে খেলছি সেটা ব্যাখ্যা করতে গেলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে। তবে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি সেটাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

সেই বইয়ে নিশ্চিত ভাবেই বাবা ভাখতাংয়ের জন্য একটা অধ্যায় থাকবে। শুরু থেকে তিনিই নিনোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রিয়োয় তিনি ছেলে সোৎনে মাকাভারিয়ানির সঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে মা-ছেলের একসঙ্গে খেলার নজির সেটাই প্রথম। নিশ্চিত ভাবেও সেটাও তাঁর জীবনের একটা অভিজ্ঞতা।

ভেবেছিলেন, টোকিয়োয় হয়তো অভিযান শেষ হয়ে যাবে। কেন হল না? নিনো বলেছেন, “টোকিয়োর পরে শুটিং ছেড়ে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু ৯৩ বছর বয়সী বাবা বলল, প্যারিসের জন্য আর তিন বছর বাকি। আর এক বার কোটা জেতার চেষ্টা করে দেখো। বাবা কোনও দিন আমার থেকে কিছু চাননি। হয়তো এটাই ওঁর শেষ ইচ্ছা। নিজের সব শক্তি একত্র করে রাজি হয়েছিলাম। ছেলেও বলেছিল, যদি আমি হাল ছেড়ে দিই, তা হলে ও-ও ছেড়ে দেবে। তখন রাজি হয়ে যাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement