দঙ্গল ছবির একটি দৃশ্য।
বোন আর নেই। এ যেন ভাবতেই পারছেন না গীতা, ববিতা ফোগটরা। বৃহস্পতিবার সকালে কুস্তিগির রীতিকা ফোগটের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। রীতিকা সম্পর্কে গীতা, ববিতা ফোগটের তুতো বোন। বোনের উদ্দেশে টুইটে শোকবার্তা জানান তাঁরা। রীতিকার আরও এক দিদি, রীতুও টুইট করেন তাঁর বোনের উদ্দেশে।
বৃহস্পতিবার সকালে ক্রীড়া দুনিয়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মাত্র ১৭ বছর বয়সে চলে গেলেন রীতিকা। পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে রীতিকাকে। ভরতপুরে একটি কুস্তি প্রতিযোগিতার ফাইনালে পরাস্ত হওয়ার পরেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান নিকট আত্মীয়দের।
আমির খানের ছবি ‘দঙ্গল’ যেন সারা ভারতের কাছে ফোগট পরিবারের পরিচিতি আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই কাহিনীর ২ মূল চরিত্র ছিলেন গীতা এবং ববিতা। টুইট করে গীতা লেখেন, ‘আমার মামাতো বোন রীতিকার আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের জন্য খুব খারাপ একটা সময়। রীতিকার এমন পদক্ষেপের কারণ জানি না হারা জেতা একজন খেলোয়াড়ের জীবনের অঙ্গ। এমন কাজ করা উচিত নয়’।
ববিতা টুইট করে লেখেন, ‘রীতিকার আত্মার শান্তি কামনা করি। গোটা পরিবার শোকাচ্ছন্ন। আত্মহত্যা কখনোই কোনও কিছুর সমাধান হতে পারে না। জয় এবং হার নিয়েই জীবন। পরাজিতও একদিন জয় পায়। লড়াই হচ্ছে সাফল্যের চাবিকাঠি। কখনোই লড়াই ছেড়ে দিয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়।’
ঋতু টুইট করে লেখেন, ‘শান্তিতে থেকো ছোট বোন। আমি ভাবতেই পারছি না তোমার সঙ্গে এটা কী হল। তোমাকে ভুলতে পারব না। ওম শান্তি’। পরের একটি টুইটে ঋতু লেখেন, ‘সকাল থেকে অনেকের বার্তা পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমার পরিবারের অবস্থা শোচনীয়। মানুষের কাছে আমার অনুরোধ ভুল খবর ছড়াবেন না। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য কঠিন সময়’।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই নজর কেড়েছিলেন রীতিকা। কমনওয়েলথে সোনাজয়ী গীতা (২০১০) এবং ববিতার (২০১৪) বোন হিসেবে নয়, নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করছিলেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল সেই পথ চলা। রীতিকার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বার করতে তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানার পুলিশ।