-২ এপ্রিল, ২০১১-র সেই স্মরণীয় রাত।—ছবি রয়টার্স।
নয় বছর আগে, ঠিক এই দিনটায় ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে তুলে মাঠ ঘুরেছিলেন তাঁর বিশ্বজয়ী সতীর্থরা। ২০১১ সালের ২ এপ্রিল, ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে রবি শাস্ত্রী একটা কথা বলেছিলেন, যা এখনও ভোলেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। শাস্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ধোনি ছয় মারল, ভারত বিশ্বকাপ জিতে গেল।’’
এই ধারণাটাই বদলে দিতে চান গৌতম গম্ভীর। শ্রীলঙ্কার ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বীরেন্দ্র সহবাগ এবং সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট হারিয়েছিল ভারত। তিন নম্বরে নেমে ৯৭ রান করে ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন গম্ভীর। নয় বছর পরে সেই দিনটার স্মৃতিচারণ করে গম্ভীর টুইট করেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ভারতের সঙ্গে এবং ভারতের জন্য।’’ গম্ভীর পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, ধোনির (অপরাজিত ৯১) ওই একটা ছয় মোটেও ভারতকে বিশ্বকাপ জেতায়নি, জিতিয়েছিল দলগত পারফরম্যান্স। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘প্রচারমাধ্যমেরও এটা ভাল করে বোঝা উচিত।’’
গম্ভীরের সঙ্গে একমত হচ্ছেন হরভজন সিংহও। ভারতীয় অফস্পিনার বলেছেন, ‘‘অনেকের কথাই বলতে হবে। যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাহির খানের পারফরম্যান্স। আমরা ওই ম্যাচটা হেরেই জেতাম। কিন্তু জাহির দুরন্ত বল করে ম্যাচটা টাই করে দেয়। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে যুবরাজের পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালে সচিনের ইনিংস। ফাইনালে আবার গৌতম এবং ধোনির ব্যাটিং। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।’’
হরভজনের মনে পড়ে যাচ্ছে, ওই বিশেষ দিনটায় তিনি কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। ভাজ্জি বলেছেন, ‘‘আমি মাঠে কোনও দিন কেঁদেছি বলে মনে পড়ে না। কিন্তু সে দিনটায় কেঁদেছিলাম।’’ এর পরেই একটা প্রশ্ন তুলছেন হরভজন। বলছেন, ‘‘আমার একটা জিনিস মনে হয়েছে। স্কোরবোর্ড ঘাঁটলে দেখবেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই এগারো জন কখনও ভারতের জার্সিতে আর একসঙ্গে ম্যাচ খেলেনি। কেন? আমি এই প্রশ্নের উত্তর পাইনি।’’
বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই দিনটা ভুলতে পারেন না আশিস নেহরাও। কিন্তু তার পিছনে অন্য একটা কারণ আছে। নেহরা বলেছেন, ‘‘আমি যদি বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা ভুলেও যাই, তা হলেও ২ এপ্রিল দিনটার কথা ভুলতে পারব না। ২ এপ্রিল আমার বিবাহবার্ষিকী। আপনারা কি মনে করেন, আমার স্ত্রী এই বিশেষ দিনটা ভুলতে দেবে?’’ চোট পাওয়ায় ফাইনালে খেলতে পারেননি নেহরা।
টুইট করে ভারতীয় ক্রিকেটের এই বিশেষ দিনটি স্মরণ করেছেন সেই বিশ্বকাপের আর এক নায়ক যুবরাজ সিংহ। তিনি লেখেন, ‘‘ভারতীয়দের কাছে বিশ্বজয়ের ওই মুহূর্ত কেমন ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’’