গত বিশ্বকাপের দল নিয়ে গৌতম গম্ভীরের নিশানায় এমএসকে প্রসাদ।
গত বছরের বিশ্বকাপের দল থেকে অম্বাতি রায়ুডুকে বাদ দিয়ে ‘থ্রি-ডি’ ক্রিকেটার বিজয় শঙ্করকে নেওয়ার জন্য সেই সময়ের প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে তীব্র কটাক্ষ করলেন গৌতম গম্ভীর।
টিভিতে এক অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেছেন, “কিছু সিদ্ধান্ত ছিল একেবারে স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো। যেমন বিশ্বকাপের দলে রায়ুডুকে না রাখা। ভারত কিন্তু চার নম্বরে কাউকে খেলানোর মতো খুঁজে পায়নি। এই জায়গায় কাউকে চিহ্নিত করতে হত। কিন্তু তা করা যায়নি। রায়ুডুকে দুই বছর ধরে দলে নেওয়া হল। চার নম্বরে খেলানো হল। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে দরকার পড়ল এক জন থ্রি-ডি ক্রিকেটারেরর। নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বললেন, দলে দরকার থ্রি-ডি ক্রিকেটারের। এই ধরনের মন্তব্য কি প্রধান নির্বাচকের থেকে শোভা পায়!”
সেই সময় অম্বাতি রায়ুডুকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রসাদ বলেছিলেন বিজয় শঙ্করের তিন ভূমিকায় দক্ষতার কথা। যেমন বিজয় শঙ্কর চার নম্বরে ব্যাট করার পাশাপাশি মেঘলা আবহাওয়ায় বল করতে পারেন। তা ছাড়া ফিল্ডিং তো রয়েইছে। গম্ভীরের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে থাকা এমএসকে প্রসাদ তখন যুক্তি খাড়া করে বলেন, “শুরুতে আমাদের দলে এমন কোনও ব্যাটসম্যান ছিল না যে কি না বল করতে পারে। রোহিত শর্মা, শিখর ধওয়ন, বিরাট কোহালিরা কেউ হাত ঘোরাতে পারে না। তাই বিজয় শঙ্করের মতো কেউ, যে কি না টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারে, সে ইংলিশ কন্ডিশনে কার্যকরী হতেই পারে।”
আরও পড়ুন: ধারাভাষ্য দেওয়ার আহ্বান, কিন্তু যুবরাজের পছন্দ...
আরও পড়ুন: ‘বিরাটের সঙ্গে বাবর আজমের তুলনা চলে না’
২৯ বছর বয়সি বিজয় শঙ্কর বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে করেন ৫৮ রান, নেন দুই উইকেট। তার পর পায়ের পাতার চোটে ছিটকে যান প্রতিযোগিতা থেকে। চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন শিখর ধওয়নও। কিন্তু তার পরও নির্বাচকরা ডেকে নেননি রায়ুডুকে। হতাশ রায়ুডু তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। এক মাস পরে অবশ্য অবসর ভেঙে ফিরে আসেন তিনি। হায়দরাবাদের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেন। ৩৪ বছর বয়সি রায়ুডুর অবশ্য এখন জাতীয় দলে ফিরে আসার সম্ভাবনা যথেষ্টই কম।