Gary Kirsten

সাত মিনিটে ভারতের কোচ হন কার্স্টেন

তিনি নিজে কখনওই আগ্রহী ছিলেন না কোচিং করানোর ব্যাপারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ০২:১৫
Share:

ফাঁস: কার্স্টেন ইন্টারভিউ দিতে যান কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই। ফাইল চিত্র

মাত্র সাত মিনিট! এই সাত মিনিটের মধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল গ্যারি কার্স্টেনের ভাগ্য। ঠিক হয়ে গিয়েছিল, তিনি ভারতের কোচ হতে চলেছেন। যে অভাবনীয় ঘটনার কথা জানিয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ কার্স্টেন নিজেই।

Advertisement

তিনি নিজে কখনওই আগ্রহী ছিলেন না কোচিং করানোর ব্যাপারে। এমনকি ভারতীয় কোচের পদের জন্য আবেদনও করেননি। কিন্তু ঘটনাচক্রে ২০০৭ সালে, অনিল কুম্বলের ভারতীয় দলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ওপেনারকেই কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। যে কাজটা শুরু করেছিলেন সুনীল গাওস্কর। আর ইন্টারভিউ প্যানেলে ছিলেন বর্তমান ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। একটি শোয়ে কার্স্টেন বলেছেন, ‘‘ভারতকে কোচিং করানোর প্রস্তাব দিয়ে একটা ই-মেল প্রথমে পেয়েছিলাম গাওস্করের থেকে। আমি ওটা কারও ঠাট্টা ভেবে উত্তরও দেইনি। কিন্তু কিছু দিন পরে আবার একটা ই-মেল পাই সেই গাওস্করের থেকেই। জানতে চাওয়া হয়, আমি ইন্টারভিউ দিতে আসছি কি না। আমার স্ত্রী তখন বলেছিল, ‘ওরা নিশ্চয়ই ভুল লোককে ই-মেল পাঠাচ্ছে।’ সেটা ভাবাই স্বাভাবিক ছিল। আমার কোনও রকম কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাই ছিল না।’’ কার্স্টেন অবশ্য শেষমেশ দিল্লিতে চলেই আসেন ইন্টারভিউ দিতে। আর সেখানে এসে তৎকালীন ভারত অধিনায়ক কুম্বলের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। কুম্বলে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘এখানে কী করছ?’’ কার্স্টেনের জবাব ছিল, ‘‘তোমাদের কোচ হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছি!’’ দু’জনে এই নিয়ে খুব হাসাহাসিও করেন।

এর পরে শুরু হয় ইন্টারভিউ পর্ব। যে প্যানেলে ছিলেন শাস্ত্রী। কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই গিয়েছিলেন কার্স্টেন। তাঁর কথায়, ‘‘তখনকার বোর্ড সচিব আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার কী রূপরেখা আছে?’ আমি বলি, ‘কিছুই নেই। কারণ, আমাকে কেউ কিছু তৈরি করতে বলেনি। আমি এমনি এসেছি।’’ এর পরে আসরে নামেন শাস্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘গ্যারি, এটা বল, দক্ষিণ আফ্রিকা কী ভাবে আমাদের হারিয়েছিল।’’ যে প্রশ্ন কার্স্টেনের অস্বস্তি কাটিয়ে দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার স্বচ্ছন্দে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন। যে উত্তর শুনে খুশি হয়েছিলেন প্যানেলের সবাই। ইন্টারভিউয়ের মিনিট সাতেক কাটতে না কাটতেই সেই বোর্ডকর্তা কার্স্টেনের দিকে চুক্তিপত্র এগিয়ে দেন। কার্স্টেন চুক্তিপত্র হাতে নিয়ে দেখেন, সেখানে তাঁর নামের জায়গায় ভারতের আগের কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের নাম বসানো। কার্স্টেন অবাক হয়ে চুক্তিপত্র ফেরত দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘স্যর, আমার মনে হয়, আগের কোচের চুক্তিপত্র আমাকে দেওয়া হয়েছে।’’ তার পরে কী হয়েছিল? কার্স্টেন বলছেন, ‘‘উনি একটু বিস্মিত হয়ে চুক্তিপত্রটা দেখেন। চ্যাপেলের নামটা কেটে আমার নাম বসিয়ে দেন!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement