সফল: টোকিয়োয় ভাল সময় করতে চান অবিনাশ। ফাইল চিত্র
বয়স যখন মাত্র ছয়, প্রায় চার মাইল রাস্তা হেঁটে স্কুলে যেতে হত। গ্রামে পরিবহণের উন্নত ব্যবস্থাই ছিল না। মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত গ্রাম মান্ডওয়া থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে কোথায় না কাজ করেছেন। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে রাজস্থানের মরুভূমি বা সিকিম। সতীর্থ সহকর্মীদের পরামর্শেই অ্যাথলেটিক্সের আঙিনায় পা রাখা। বেছে নেওয়া স্টিপলচেজের মতো কঠিন ইভেন্ট। যেখানে তিন হাজার মিটার দৌড়তে হয় ২৮টি বাধা অতিক্রম করে। সঙ্গে জল পার হওয়ার জন্য দিতে হয় সাতটি লাফ। মহারাষ্ট্রের কৃষক-সন্তান অবিনাশ সাবলে রাতারাতি শিরোনামে, ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। তিন দিনে দ্বিতীয় বার নিজেরই করা জাতীয় রেকর্ড উন্নত করে। ভারতের পঁচিশ বছর বয়সি এই অ্যাথলিট শনিবার দোহায় বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিটে ইভেন্ট শেষ করতে সময় নিলেন ৮ মিনিট ২১.৩৭ সেকেন্ড। অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের মান ছিল ৮ মিনিট ২৫.২৩ সেকেন্ড। অবশ্য এত ভাল সময় করলেও মোট ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে অবিনাশ তেরো নম্বরে দৌড় শেষ করেন। আর দোহায় এই ইভেন্টে যিনি সোনা জিতলেন, সেই কিনিয়ার কনসেসলুয়াস কিপ্রুতু সোনা জিতলেন ৮ মিনিট ০১.৩৫ সেকেন্ড সময় করে।
তেরো নম্বরে শেষ করলেও অবিনাশ টোকিয়োর টিকিট নিশ্চিত করে খুবই খুশি। বলেছেন, ‘‘টোকিয়োয় দৌড়তে পারব ভাবতেই পারছি না। এখানে নেমেছি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতেই। জানতাম পদক জেতা খুবই কঠিন। কিন্তু ভাল প্রতিযোগীদের সঙ্গে দৌড়তে পারলে আমার সময় অনেকটাই উন্নত করতে পারব। ঠিক সেটাই হয়েছে।’’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘শেষ তিন মাস কঠোর অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলাম। অন্য কোনও দিকে মন দিইনি। সেনাবিভাগ থেকেও দারুণ সাহায্য পয়েছি। আমার কোচ অসীম কুমার সারাক্ষণ পাশে ছিলেন। সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। এখন মনে হচ্ছে, ঠিক মতো প্রস্তুতি নিতে পারলে টোকিয়োয় আমি আরও ভাল সময় করতে পারব। আশা করি, ভাল ফলই করব।’’