— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার বিতর্কে দাবা। বিশ্ব র্যাপিড ও ব্লিৎজ় প্রতিযোগিতায় বেশি কিছু অনিয়মের অভিযোগ করেছেন দাবাড়ুরা। জুতো পরার জন্য এক মহিলা দাবাড়ুকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার সময় ডোপ পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এক ভারতীয় দাবাড়ু। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইয়ান নেপোমনিয়াচি, ফাবিয়ানো কারুনা, পেন্টালা হরিকৃষ্ণের মতো বিশ্বের বেশ কয়েক জন প্রথম সারির গ্র্যান্ড মাস্টার অভিযোগ করেছেন যে কার্লসেনকে ব্যক্তিগত লাউঞ্জ দেওয়া হয়েছে। ম্যাচের মাঝে সেখানে বিশ্রাম নিতে পেরেছেন কার্লসেন। বাকি কাউকে সেই সুবিধা দেওয়া হয়নি। দাবার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিডে-র কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ভারতীয় দাবাড়ু নিহাল সারিন অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এক বার করে তাঁর মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়েছে। এ ভাবে ডোপ পরীক্ষা হয় না বলেই অভিযোগ নিহালের। কয়েক জনের সঙ্গেই এই ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের দাবাড়ু আনা-মাজা কাজ়ারিনও ডোপ পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
কাজ়ারিনের আরও অভিযোগ, জুতো পরার জন্য তাঁকে প্রায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা নাকি জানিয়েছেন, তিনি যে জুতো পরেছেন তা দাবা খেলার জুতো নয়।
উজবেকিস্তানের সমরখন্দে চলছে এই প্রতিযোগিতা। র্যাপিড দাবা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পুরুষদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কার্লসেন। মহিলাদের বিভাগে জিতেছেন অ্যানাস্টাসিয়া বদনারুক। দু’জনেই দুই ভারতীয় দাবাড়ুকে হারিয়েছেন। কার্লসেনের কাছে হেরেছেন বিদিত গুজরাতি। অন্য দিকে কোনেরু হাম্পিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জিতেছেন বদনারুক।