ছিটকে গেলেন চিচিপাস ছবি রয়টার্স
তাঁকে ধরা হচ্ছে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবেই। ডেনমার্কের সেই হোলগার রুন সোমবার ফরাসি ওপেনে অঘটন ঘটিয়ে দিলেন। চতুর্থ বাছাই স্টেফানোস চিচিপাসকে ছিটকে দিলেন রুন। ফিলিপ শঁতিয়ে কোর্টে ৭-৫, ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিলেন চিচিপাসকে। ডেনমার্কের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওপেন যুগে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি।
প্যারিসে এই প্রথম বার খেলছেন রুন। প্রথম বারেই তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলেন। ১৯ বছরের খেলোয়াড়ের বল মারার ক্ষমতা এবং ড্রপ শট তাঁকে ম্যাচে এগিয়ে দেয়। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় তিনি ডেনিস শাপোভালভ, হেনরি লাকসোনেন এবং হুগো গাস্টনকে হারিয়েছেন। উল্লেখ্য, কোয়ার্টারে উঠেছেন কার্লোস আলকারাজও। ফলে ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টারে দু’জন ২০ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়কে দেখা যাবে। সে বার হেনড্রিক ড্রিকম্যান এবং আন্দ্রেই মেদভেদেভ কোয়ার্টারে উঠেছিলেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যাসপার রুডের বিরুদ্ধে খেলবেন রুন। রুড এ দিন ৬-২, ৬-৩, ৩-৬, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন হুবার্ট হুরকাজকে। তিনিও প্রথম বার ফরাসি ওপেনের শেষ আটে উঠলেন। ১২ মাস আগেও র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম তিনশোর মধ্যে ছিলেন না রুন। এখন তিনি ৩১ নম্বরে উঠে এসেছেন। বছরটা দুর্দান্ত গিয়েছে তাঁর। গত মাসে মিউনিখে বিশ্বের তিন নম্বর আলেকজান্ডার জেরেভকে হারিয়েছিলেন তিনি। সুরকির কোর্টে এই মুহূর্তে তাঁর জয়-হারের সংখ্যা ২১-৭।
ফিলিপ শঁতিয়ে কোর্টে ভরা দর্শকের মাঝে শুরুটা ভালই করেছিলেন চিচিপাস। শুরুতেই ব্রেক করেন রুনকে। কিন্তু স্নায়ু ধরে রেখে ড্যানিশ খেলোয়াড় ক্রমশ ম্যাচের রাশ নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেন। চিচিপাসও নিজের ধৈর্য ধরে রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছিলেন। দুর্দান্ত কিছু গ্রাউন্ডস্ট্রোক দেখা যায় তাঁর র্যাকেট থেকে। কিন্তু রুনের আগ্রাসনের কাছে হার মানেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।