ন’শোতম ম্যাচ জিতে ফরাসি ওপেন কোয়ার্টার ফাইনালে নাদাল

৩৯টি উইনার মেরে নাদাল একই সঙ্গে কেরিয়ারের ৯০০তম ম্যাচ জিতলেন। তবে সহজে জিতলেও ম্যাচের পরে প্রতিপক্ষকে প্রশংসা করেন নাদাল। ‘‘তৃতীয় সেটটা খুব কঠিন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

অপ্রতিরোধ্য: শেষ আটে ওঠার পথে নাদাল। সোমবার। ছবি: এএফপি

৬-৩, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪)।

Advertisement

স্কোরলাইন দেখে কেউ বলবে না রাফায়েল নাদালকে জিততে প্রচণ্ড লড়তে হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, সোমবার এ বারের রোলঁ গ্যারোজে নিজের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেললেন স্প্যানিশ তারকা। ম্যাক্সিমিলিয়ান মার্টেরারের বিরুদ্ধে। জার্মান তরুণের বিশ্বর‌্যাঙ্কিং ৭০। কিন্তু প্রথম সেটেই তিনি ০-২ এগিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বরের বিরুদ্ধে। তবে ওই পর্যন্তই। তৃতীয় সেট টাইব্রেকারে গেলেও কেরিয়ারের ১২ নম্বর ফরাসি ওপেন কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে স্প্যানিশ তারকা সেট হাতছাড়া করেননি।

রবিবারই নোভাক জোকোভিচ রেকর্ড করেছিলেন তাঁর বারো নম্বর ফরাসি ওপেন কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে। সেটা ২৪ ঘণ্টাও টিকতে দিলেন না নাদাল। সেমিফাইনালে নাদালের সামনে দিয়েগো সোয়ার্ৎজম্যান। এগারো নম্বর বাছাই সোমবার পাঁচ সেটের লড়াইয়ে দুরন্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারান ষষ্ঠ বাছাই কেভিন অ্যান্ডারসনকে। ফল ১-৬, ২-৬, ৭-৫, ৭-৬ (৭-০), ৬-২।

Advertisement

৩৯টি উইনার মেরে নাদাল একই সঙ্গে কেরিয়ারের ৯০০তম ম্যাচ জিতলেন। তবে সহজে জিতলেও ম্যাচের পরে প্রতিপক্ষকে প্রশংসা করেন নাদাল। ‘‘তৃতীয় সেটটা খুব কঠিন ছিল। ম্যাক্সিমিলিয়ান ভাল খেলোয়াড়,’’ বলেন ফরাসি ওপেনে টানা ৩৭টি সেট জেতার আর এক নজির গড়ে নাদাল। তাঁর সামনে এখন কিংবদন্তি বিয়র্ন বর্গের টানা ৪১টি সেট জেতার রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি। বর্গ ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১-র মধ্যে এই নজির গড়েছিলেন।

তবে একটা সময় কিন্তু মনে হচ্ছিল, রোলঁ গ্যারোজে সোমবার হয়তো নাদালের বিরুদ্ধে সেট ছিনিয়ে নেওয়ার অসম্ভব কঠিন কাজটা অবাছাই জার্মান তরুণ করে দেখাবেন। বিশেষ করে তৃতীয় সেটে যখন নাদালকে তিনি ১-৩ পিছিয়ে দেন। শেষ বার নাদাল ফরাসি ওপেনে সেট হারান ২০১৫ রোলঁ গ্যারোজ কোয়ার্টার ফাইনালে। বিপক্ষে ছিলেন নোভাক জোকোভিচ। গত বারের চ্যাম্পিয়ন সেখান থেকে দ্রুত উঠে দাঁড়ান। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় ম্যাচ পয়েন্টে স্প্যানিশ তারকা জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় মুষ্টিবদ্ধ হাত ঝাঁকিয়ে তাঁর পরিচিত উৎসবের ভঙ্গি।

২০০১ পেশাদার কেরিয়ার শুরু করার পরে নাদাল তাঁর এগারো নম্বর ফরাসি ওপেন খেতাবের দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন। গত ৫০ বছরে ৯০০ ম্যাচ জেতার ক্লাবে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ঢুকে পড়লেন তিনি। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন জিমি কোনর্স (১২৫৬ জয়-২৭৯ হার)। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে রজার ফেডেরার (১১৪৯-২৫২), ইভান লেন্ডেল (১০৬৮-২৪২) এবং গেলেরমো ভিয়াস (৯৪৮-২৯১)।

মেয়েদের সিঙ্গলসে দারিয়া কাসাতকিনা কেরিয়ারে প্রথম বার ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে হারিয়ে। ফল ৭-৬ (৫), ৬-৩। ওজনিয়াকি হারের পরে বলেন, ‘‘আমি খারাপ খেলিনি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও বল ফস্কায়নি। তা ছাড়া বেসলাইনের খুব কাছ থেকে খেলছিল। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ম্যাচ জেতার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।’’

প্রাক্তন বিশ্বসেরা অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন। ছ’বছর পরে ক্লে-কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যামে কেরিয়ারের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি। জার্মান তারকা এ বার দ্বাদশ বাছাই। তিনি স্থানীয় তারকা সপ্তম বাছাই ক্যারোলিন গার্সিয়াকে হারান ৬-২, ৬-৩। ম্যাচের পরে তিনি বলেন, ‘‘শুরুটা এ দিন ম্যাচে ভালই করেছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে সেটা ধরে রাখতে পারিনি। এর পরের রাউন্ড সোজা হবে না। চেষ্টা করব জেতার। দেখা যাক এ বার কত দূর যেতে পারি প্রতিযোগিতায়।’’

বিশ্বের এক নম্বর এবং শীর্ষবাছাই সিমোনা হালেপও সহজেই শেষ আটে ওঠেন এলিস মার্টেন্সকে ৬-২, ৬-১ হারিয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে হালেপের মুখোমুখিই হবেন কের্বের। হালেপ নিজের ফর্মে খুশি। ‘‘যে ভাবে খেলছি তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে,’’ বলেন রোমানিয়ার তারকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement