চোট নিয়ে অকপট নাদাল ছবি রয়টার্স
খেতাব নয়, বাঁ পা। রবিবার ফরাসি ওপেনের ফাইনাল খেলতে নামার আগে এটাই চাহিদা রাফায়েল নাদালের। ১৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে রজার ফেডেরার এবং নোভাক জোকোভিচের থেকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। তার আগে নাদাল বলে দিয়েছেন, ফাইনালে জয়ের থেকেও বাঁ পা বদলাতে পারলে তিনি বেশি খুশি হবেন।
চোট ফরাসি ওপেনের আগে থেকেই ভোগাচ্ছে নাদালকে। বলেছিলেন, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ভাবতে পারেননি খেলতে পারবেন। চোট নিয়ে তাঁকে চলতে হবে। এর পর বারে বারে এসেছে চোটের প্রসঙ্গ। নাদাল বলেছেন, বাঁ পায়ের যা অবস্থা, তাতে কখন টেনিসজীবনে পর্দা নেমে আসবে সেটা তিনি নিজেও জানেন না।
প্রি-কোয়ার্টারে ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমে এবং কোয়ার্টারে নোভাক জোকোভিচের বিরুদ্ধে সাড়ে চার ঘণ্টার কাছাকাছি কোর্টে ছিলেন তিনি। সেমিফাইনালে জেরেভের বিরুদ্ধেও প্রথম দু’টি সেট খেলতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। তাঁকে দেখে এক বারও মনে হয়নি চোট রয়েছে। তবে নাদাল যে নিজের পায়ের অবস্থা নিয়ে খুশি নন, সেটা বোঝা গিয়েছে জেরেভের ম্যাচের পর তাঁর মন্তব্যে। নাদাল বলেছেন, “ফাইনালে হেরে যেতেও রাজি। বরং নতুন পা পেলে আরও খুশি মনে জীবন কাটাতে পারব। জিততে খুবই ভাল লাগে। উত্তেজনা হয়। কিন্তু সেই অনুভূতি সাময়িক। সবার আগে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হবে। আমার সামনে একটা জীবন রয়েছে। ভবিষ্যতে আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই, তাদের সঙ্গেও খেলতে চাই। তাই খেতাবের থেকে ব্যক্তিগত খুশি আমার কাছে অনেক আগে।”
চোট কতটা দুঃখের, কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে, সেটা শুক্রবারই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পেরেছেন নাদাল। উল্টো দিকে থাকা জেরেভ দ্বিতীয় সেট চলাকালীন গোড়ালি ঘুরে পড়ে যান। প্রবল যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন। নাদাল সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পাশে গিয়ে চোটের অভিঘাত বোঝার চেষ্টা করেন। সারাক্ষণ জেরেভের পাশেই ছিলেন। নিজের চোটের কথাও কি মনে পড়ছিল তাঁর? ম্যাচের পর বলেন, “আপনি যদি মানুষ হন, তা হলে ও রকম চোট দেখে আপনার দুঃখ হবেই। এটা নিয়ে কথা বলতেই অস্বস্তি লাগছে। আশা করি ও খুব গুরুতর চোট পায়নি বা ওর পা ভাঙেনি।”
কোর্টের অবস্থা যে খারাপ ছিল, এটা মানতে চাননি নাদাল। বলেছেন, “জেরেভের ব্যাপারটা নেহাতই দুর্ঘটনা। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পড়ে গিয়েছে ও।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।