ফাইল চিত্র।
চেন্নাই থেকে শহরে ফিরে ইস্টবেঙ্গলের হার দেখার পরে কিবু ভিকুনার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে চেন্নাইয়ে ম্যাচ জিতে দুপুরে শহরে পিরেই দলকে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন মোহনবাগান কোচ। বলেছেন, ‘‘পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আগামী রবিবারের (৯ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ ডার্বির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচটা জিততে পারলে খেতাবের রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
লিগ টেবলে মোহনবাগানের পরেই আছে পঞ্জাব এফসি। দু’দলের মধ্যে পয়েন্টের ফারাক এখন ছয়। সবুজ-মেরুনের অঙ্ক ওই ম্যাচ জিতলে নয় পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বাকি আটটি ম্যাচে খেতাব জেতার বাকি পয়েন্ট তুলে নিতে অসুবিধা হবে না।
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারানোর পরে শুক্রবার রাতে মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে কোনও উচ্ছ্বাস দেখানোর সুযোগ ছিল না। জোসেবা বেইতিয়ারা হোটেলে ফিরেই যে যাঁর ঘরে চলে যান। শনিবার সকালে উঠে অবশ্য দলের অন্যতম স্তম্ভ ফ্রান গঞ্জালেসকে ঘিরে উৎসব শুরু হয়। স্পেনীয় মিডিয়োর জন্মদিন ছিল এ দিন। কেক কাটা হয়। তারপরই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন লিগ শীর্ষে উঠে যাওয়া পালতোলা
নৌকার সওয়ারিরা।
মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ২০ গোল করেছে। তার মধ্যে ১০টি গোল ফ্রান গঞ্জালেস (৬) ও পাপা বাবাকর দিওয়ারার (৪)। শেষ তিন ম্যাচে চার গোল করেছেন সেনেগালের স্ট্রাইকার। ফলে প্রচণ্ড খুশি তিনি। তবে এখানেই থামতে চান না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন লা লিগায় খেলে আসা এই ফুটবলার। এ দিন তিনি বলেছেন, ‘‘গোল করে দলকে জেতানোই স্ট্রাইকারদের কাজ। সেটাই করার চেষ্টা করছি। নিজের একটা লক্ষ্য ঠিক করা আছে। সেখানে পৌঁছতে চাই।’’