ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। —ফাইল চিত্র
ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন বজরং পুনিয়ারা। অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন ফিজিয়ো পরমজিৎ মালিক। তাঁর দাবি, ব্রিজভূষণ যৌননিগ্রহ করতেন। সেটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন বলে ২০১৪ সালে চাকরি গিয়েছিল বলেও দাবি পরমজিতের।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমজিৎ বলেন, “সংবাদমাধ্যমের কাছে আমি জানিয়েছিলাম যৌননিগ্রহের কথা। ২০১৪ সালে সেই কথা বলার পর সাই থেকে আমাকে এবং স্ত্রীকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। গীতা ফোগাটের ব্যক্তিগত ফিজিয়ো হিসাবে আমি সাই-তে গিয়েছিলাম। পরে আমাকে সাইয়ের ফিজিয়ো হিসাবে নেওয়া হয়।”
পরমজিৎ জানিয়েছেন যে, সেই সময় ব্রিজভূষণের হয়ে কাজ করতেন ধীরেন নামে এক ব্যক্তি। তাঁদের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ লিখিত ভাবেও জমা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পরমজিতের। যদিও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরমজিৎ বলেন, “অলিম্পিয়ান, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারছে না। আমি তো পারবই না। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।”
২০১৪ সালে লখনউয়ের সাইয়ে ছিলেন পরমজিত। তাঁর কাছে চার-পাঁচ জন মহিলা কুস্তিগির যৌননিগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ জানাতে গিয়েই তাঁর চাকরি গিয়েছিল। সাই থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল পরমজিতের স্ত্রী কুস্তিগির সুমন কুণ্ডুকে।
দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে আবার ধর্না শুরু করেছেন দেশের বেশ কয়েক জন নামী কুস্তিগির। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটদের দাবি, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেই রিপোর্টও সকলের সামনে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যত দিন না তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে তত দিন তাঁরা ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন ভারতীয় কুস্তিগিররা। সেই কারণেই এই মামলাটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সাতটি অভিযোগ করা হয়েছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। সবক’টিরই তদন্ত করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনও অভিযোগ এলেই এফআইআর দায়ের করা হবে।