Cricket

জন্মদিনে চন্দ্রদের কুর্নিশ কর্নেলের

লর্ডসে তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে তাঁর। কোনও বিদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে যা সর্বাধিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০৮
Share:

গর্বিত: ক্রিকেট জীবন নিয়ে আক্ষেপ নেই বেঙ্গসরকরের। টুইটার

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকর তাঁর ৬৪তম জন্মদিন পালন করলেন সোমবার। এই বিশেষ দিনে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘কর্নেল’ জানিয়ে দিলেন, তাঁর জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই। টানা ১৬ বছর দেশের হয়ে খেলাই তাঁর কাছে সব চেয়ে গর্বের।

Advertisement

এ দিন সংবাদ সংস্থাকে বেঙ্গসরকর বলেছেন, “যখন জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, তখন আর কোনও আক্ষেপ থাকে না। দেশের হয়ে ১১৬টি টেস্ট খেলার মতো প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে। তার সঙ্গেই যোগ করে নিন ১২৯টি ওয়ান ডে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বকাপ জিতেছি, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছি। একজন ক্রিকেটারের জীবনে আর কীই চাই?”

লর্ডসে তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে তাঁর। কোনও বিদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে যা সর্বাধিক। যে কারণে বেঙ্গসরকরকে বলা হয়ে থাকে ‘লর্ডসের লর্ড’। তাঁর কি মনে হয়, তিনি ঠিক মতো প্রচার পাননি? বেঙ্গসরকরের কথায়, “প্রাপ্তি অথবা প্রচার নিয়ে কখনও ভাবিনি। দেশের হয়ে খেলেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে অনুরোধ করব, শুধু নিজের ক্রিকেটে মন দাও। প্রাপ্তি, জনপ্রিয়তা তো আমাদের হাতে থাকে না। আমাদের আয়ত্তে যা আছে, সেটাই ঠিকঠাক করতে হবে।”

Advertisement

টেস্টে প্রায় সাত হাজার রান করেছেন। ক্রিকেট জীবনের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট পাওয়ার পরে বহু দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। তা না হলে কি আরও বেশি রান যোগ হত তাঁর নামের পাশে? বেঙ্গসরকরের উত্তর, “ক্রিকেটে কোনও অজুহাতের জায়গা নেই। যদি, কিন্তুও, এ সব কেউ শুনতে চায় না। তাই যা হওয়ার হয়েছে। এ নিয়ে ভাবি না।”

তিনি সুইংয়ের বিরুদ্ধে যে রকম দক্ষ, সে রকম সাবলীল স্পিনারদের বিরুদ্ধেও। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারেরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ছেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এ রকম সমস্যা হওয়ার কারণ কী? বেঙ্গসরকরের ব্যাখ্যা, “জাতীয় স্তরে নিয়মিত খেলেই স্পিনারদের বিরুদ্ধে সাবলীল হয়েছি। রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফি খেলতাম সময় পেলেই। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় পায় না অনেকেই।” এর পরে ভারতীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের স্পিনারদের কৃতিত্ব দিয়ে বলছেন, “রঞ্জি ট্রফিতে তখন বিষাণ সিংহ বেদী, এরাপল্লি প্রসন্ন, ভগবৎ চন্দ্রশেখর ও রাজিন্দর গোয়েলের মতো স্পিনারেরা বল করত। ওদের বিরুদ্ধে খেলেই উন্নতি করেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement