প্রয়াত গার্ড মুলার। ফাইল ছবি
প্রয়াত হলেন গার্ড মুলার। রবিবার দুপুরে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের মৃত্যুর খবর জানায় তাঁর প্রাক্তন ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। খবর প্রকাশের পরেই গোটা বিশ্ব জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুলারকে আশির দশকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার এবং স্ট্রাইকার হিসেবে গণ্য করা হত। ১৯৭২-এ জার্মানিকে ইউরো কাপ এবং ১৯৭৪-এ বিশ্বকাপ জেতাতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ইউরো কাপ ফাইনালে জার্মানি ৩-০ হারিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে। জোড়া গোল করেছিলেন মুলার। বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজিত হয় নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচেও জয়সূচক গোলটি ছিল মুলারের।
১৯৭০ এবং ১৯৭৪— এই দু’টি বিশ্বকাপে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। মোট ১৩টি ম্যাচে তাঁর ১৪টি গোল করেছিলেন। দীর্ঘ ৩২ বছর তাঁর এই রেকর্ড বজায় ছিল। ২০০৬ বিশ্বকাপে তাঁকে টপকে যান ব্রাজিলের রোনাল্ডো। ২০১৪ বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর রেকর্ড টপকে যান জার্মানিরই মিরোস্লাভ ক্লোজে।
১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ হাতে। ফাইল ছবি
বায়ার্ন মিউনিখে রীতিমতো কিংবদন্তির মর্যাদা পান তিনি। ক্লাবের হয়ে ৬০৭ ম্যাচে ৫৫২ গোল করেছেন। জার্মানির হয়ে ৬২ ম্যাচে ৬৮ গোল করেছেন। গোটা কেরিয়ারে ৭৮০ ম্যাচে ৭১১ গোল রয়েছে তাঁর। খেলোয়াড় জীবনে ছ’গজ বক্সে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের জন্যে বিখ্যাত ছিলেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে ১৯৭১-৭২ মরশুমে ৮৫টি গোল করেছিলেন তিনি, যা দীর্ঘদিন রেকর্ড ছিল। ২০১২-য় তা ভেঙে দেন মেসি। এ ছাড়া বুন্দেশলিগায় এক মরশুমে ৪০টি গোলের রেকর্ডও টিকে ছিল দীর্ঘদিন। গত মরশুমে রবার্ট লেয়নডস্কি সেই রেকর্ড ভেঙে দেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সিতে। ফাইল ছবি
বায়ার্নের দ্বিতীয় দলের কোচ থাকাকালীন ২০১৫ সালে অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত হন তিনি। তারও আগে নিজের কেরিয়ারের শেষের দিকে অত্যধিক মদ্যপান করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ক্লাবের তরফে রিহ্যাব করানো হয়। কিন্তু কখনও সেই অবস্থা থেকে পুরোপুরি মুক্ হতে পারেননি তিনি। সেই রোগ আজীবন ছিল তাঁর।
ফুটবলের শহর কলকাতায় একাধিক বার পা পড়েছে তাঁর। ২০০৫-এ জার্মানির খুদেদের দল নিয়ে আইএফএ শিল্ডে খেলতে এসেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে জার্মানির অনূর্ধব-২৩ দলকে নিয়ে কলকাতায় আসেন।