দলের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছেন না প্রক্তনরা।—ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ মারিয়ো রিভেরা ‘অবনমন’ শব্দটা শুনলেই হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর দলের কর্তা-সদস্য-সমর্থকদের মতোই আই লিগ থেকে নেমে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন লাল-হলুদের সোনালি যুগের প্রাক্তনেরা।
আই লিগ জেতানো প্রাক্তন কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘লিগ টেবলে নীচের দিকের দলগুলির পয়েন্টের ফারাক কম। তাই হয়তো অবনমন বেঁচে যাবে। তবে ইস্টবেঙ্গলের এই অবস্থার প্রধান কারণ দলে মাঝমাঠ বলে কিছু নেই। কোনও লোকের কোমর ভাঙা হলে যা হয়, তা-ই হচ্ছে। দলটাই ঠিক মতো গঠন করা হয়নি। গতবারের ম্যাচ জেতানো ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’ আর এক ঘরের ছেলে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমি আতঙ্কে আছি। শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল নেমে যাবে? ভাবতেই পারছি না। এটা ভাবলেই লজ্জা লাগছে। কলকাতা লিগের সময়ই বলেছিলাম, দলে বদল না আনলে ডুবতে হবে। তাই হয়েছে।’’ গৌতম সরকারের মন্তব্য, ‘‘যারা ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলছে, তাদের এই জার্সি পরার যোগ্যতাই নেই। কষ্ট হচ্ছে। এই জার্সি পরে কতবার চাপের মুখে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সব নিম্ন মানের বিদেশিতে ভর্তি। কে জেতাবে? গোল করার লোক কোথায়? অবনমন না হয়ে যায়।’’
প্রাক্তনরা যখন অবনমন-আতঙ্কে ভুগছেন, সেই আবহে কাশিম আইদারারা সোমবার অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলবেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে। যাদের কাছে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল। ম্যাচ মুম্বই-এ, কুপারেজের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। মার্তি ক্রেসপির বদলি হিসাবে সই করানো ডিফেন্ডার ভিক্তর পিরেস আলন্সোকে পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। ভিসা না হওয়ায় আসতে পারছেন না তিনি। এরই মধ্যে খাইমে সান্তোস কোলাদোকে ছেড়ে দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ তাঁকে রাখতে চাইছেন না বলে খবর।