মানোলো এবং আলেসান্দ্রো।
অনেক ব্যথা, যন্ত্রণা, হতাশা নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিদায়বেলায় নিয়ে গিয়েছিলেন সমর্থকদের বুক ভরা ভালবাসা। সেই আবেগ ভুলতে পারেননি। তাই বন্ধু ম্যানুয়েল ‘মানোলো’ দিয়াসকে কলকাতায় কোচিং করানোর প্রস্তাব লুফে নিতে বলেছেন।
তিনি আলেসান্দ্রো মেনেন্দেজ গার্সিয়া। একসময় ইস্টবেঙ্গল জনতার নয়নের মণি ছিলেন। কোয়েস বিনিয়োগকারী থাকার সময় রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাস্টিয়ার প্রাক্তন কোচ আলেসান্দ্রোকে লাল-হলুদের প্রশিক্ষক করে নিয়ে এসেছিল। আই লিগে সে বার ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য আই লিগ পায়নি। কিন্তু আলেসান্দ্রোর শান্ত অথচ প্রয়োজনে কঠোর মনোভাব সমর্থকদের মন জয় করে নেয়। সমর্থকদের সঙ্গে বরাবরই তাঁর হৃদ্যতা ছিল। সেই ভালবাসা ভুলতে পারেননি তিনি। কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিচ্ছেদের পর ভারত ছেড়ে চলে যান আলেসান্দ্রো। এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ হয়ে মানোলো আসার পিছনে অনেকাংশে তিনিই দায়ী।
রিয়ালে থাকার সময় থেকেই মানোলোর সঙ্গে পরিচয় রয়েছে আলেসান্দ্রোর। রিয়ালের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে কোচিং করিয়েছেন মানোলো। ২০০৯-এ ক্যাস্টিয়ার কোচ ছিলেন আলেসান্দ্রো। মানোলো রিয়াল মাদ্রিদ ‘সি’ দলের কোচ থাকাকালীন আলেসান্দ্রোর সঙ্গে তাঁর আলাপ। তারপর থেকেই দু’জনে খুব ভাল বন্ধু।
এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার আগে মানোলোর কাছে ছিল চিনের একটি ক্লাবের প্রস্তাব। তিনি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। ত্রাতা হন আলেসান্দ্রোই। তিনি মানোলোকে বোঝান কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা কতটা আবেগপ্রবণ এবং এই শহর কতটা ফুটবল-পাগল। মানোলো প্রস্তাব গ্রহণ করতে দ্বিতীয় বার ভাবেননি। এক ওয়েবসাইটে আলেসান্দ্রো বলেছেন, “মানোলো অনেক শিরোনাম তৈরি করবে ভবিষ্যতে। আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।”