প্রতীকী ছবি।
চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল-সহ আই লিগের তিনটি ক্লাব তাদের ফুটবলারদের নির্ধারিত সময়ের এক বা দু মাস আগে তা বাতিল করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন ফুটবলারেরা।
সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার সরাসরি যোগাযোগ করেছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে। কেউ পরামর্শ নিচ্ছেন আইনজীবীদের। কোচ মারিয়ো রিভেরা ইতিমধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্টের প্রধান কর্তাকে ই-মেল করে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েকের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন তিনি। বেশ কয়েক জন ফুটবলারও নাকি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থায় অভিযোগ করতে পারেন। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ফুটবলারদের সংগঠন এফপিএআই বা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে কেউ সরকারি ভাবে অভিযোগ করেননি।
জানা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, গোকুলম এবং চেন্নাই সিটি এফসি-র সঙ্গে তাঁদের ফুটবলারদের চুক্তির বয়ানে পার্থক্য রয়েছে। তবে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার কারণ হিসেবে সব দলই আই লিগ পণ্ড হয়ে যাওয়া এবং করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার কথা জানিয়েছে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “আমাদের কাছে এখনও কোনও অভিযোগপত্র জমা পড়েনি। পেলেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির কাছে।’’ আর ভারতে ফুটবলারদের সংগঠন এফপিএআই-এর জেনারেল ম্যানেজার সাইরাস বললেন, “আমাদের সঙ্গে ফোনে অনেকে যোগাযোগ করলেও লিখিত ভাবে কেউ কিছু জানাননি। জানালে আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াই লড়ব। ফিফার নিয়মে আলোচনা ছাড়া এ ভাবে কোনও চুক্তি বাতিল করা যায় না।’’
চুক্তি বাতিল নিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যেই স্পেনে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠল খাইমে সান্তোস কোলোদো, কিবু ভিকুনাদের। লকডাউনের জেরে আটকে পড়া স্পেনীয়দের দেশে ফেরার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করছে স্পেনের দূতাবাস। আগামী সপ্তাহে (৩ ও ৫ মে) দিল্লি থেকে বিমান ওড়ার কথা। তবে তা সরাসরি স্পেনে যাবে না। জানা গিয়েছে, আমস্টারডাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে সকলকে। শুধু তাই নয়। দূতাবাসের তরফে কোলাদোদের বলে দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে দিল্লিতে আসার বিমানের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় তাই কলকাতা থেকে সড়কপথেই পৌঁছতে হবে। যা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। কেউ কেউ বললেন, ‘‘দূতাবাস থেকে আমাদের ট্র্যাভেল এজেন্টের ফোন নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সড়কপথে দিল্লি যাওয়ার অনুমতিও নেওয়া রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দিল্লি পৌঁছতে প্রায় দু’দিন লাগবে। এতটা দূর গাড়িতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকির। তাই বুঝতে
পারছি না কী করব।’’