ক্রাণ তহবিলে অনুদান সংগ্রহ করে দুঃস্থদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সুনীল ছেত্রী।—ফাইল চিত্র।
সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বে করোনা ক্রাণ তহবিলে অনুদানের সঙ্গী হয়েও থেমে যেতে চাননি তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুভাষগ্রামে বাড়ির আশেপাশের অসহায় দরিদ্র পরিবারের দুর্দশা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শুভাশিস বসু। ইগর স্তিমাচের ভারতীয় দলের রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ লকডাউন হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিনই চাল, ডাল, আলু, তেল নিয়ে হাজির হচ্ছেন মানুষের দরজায়। সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন অভুক্ত মানুষদের সাহায্য করতে।
জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ বঙ্গসন্তান প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদাররাও নানা ভাবে সাহায্য করেছেন করোনার জেরে কাজ হারানো মানুষকে। বাদ যাননি অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ দলের অভিজিৎ সরকার, রহিম আলিরাও। কিন্তু শুভাশিস যা করছেন, সেটা একেবারেই অন্য রাস্তায়। শুধু এক দিন নয়, টানা প্রায় পনেরো দিন ত্রাণের কাজ করছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘মোহনবাগান বা দেশের হয়ে খেলে ফেরার পরে যে রিক্সাচালকরা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে পয়সা নিতে চাইতেন না, যে দোকানদার জোর করে হাতে গুঁজে দিতেন মিষ্টি বা কেক, তাঁরা এখন কর্মহীন। আসলে এরা সবাই দিনমজুর। চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব সাহায্য করার।” বলার সময় সামনের মরসুমে এটিকেতে যোগ দেওয়া শুভাশিস আবেগাপ্লুত। দাবি করলেন, বন্ধুদের নিয়ে প্রায় তিনশো মানুষকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)