মৃত খুদে ফুটবলার। প্রতীকী ছবি
স্থানীয় কোচিং ক্যাম্পে ফুটবল অনুশীলন করতে গিয়ে মাঠেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল খুদে ফুটবলারের। শনিবার শ্যামবাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পিছনে ক্লাবের দিকেই আঙুল তুলেছে ওই খুদে ফুটবলারের পরিবার। যদিও ক্লাবের তরফে তার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে শ্যামবাজারের উত্তর প্রান্তিক ক্লাবে ফুটবল অনুশীলন করতে যায় উল্টোডাঙার বাসিন্দা ১৪ বছরের সুকদেব সাহা। এর আগে মাস দেড়েক শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে যেতে পারেনি সে। ক্লাবের দাবি, অনুশীলনে নামার আগে প্রশিক্ষকরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন সে সুস্থ রয়েছে কিনা। উত্তরে সুকদেব জানায়, সে সুস্থ। তখন প্রশিক্ষকরা তাকে অনুশীলন শুরু করতে বলেন।
মৃত সুকদেব সাহা।
তবে দৌড় শুরু করার পর ৫০-৬০ গজ গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ে সুকদেব। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল না সুকদেব। এমনকী, তার মৃগী ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
ফুটবল ম্যাচ বা অনুশীলন করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা দেশ বা বিদেশে অস্বাভাবিক নয়। সম্প্রতি স্থানীয় লিগেও এক ফুটবলার ম্যাচ চলাকালীন মারা গিয়েছিলেন। এই ধরনের ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, তার জন্য প্রতিটি কোচিং ক্যাম্পেই ‘লাইফ সেভিং’ কিট রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শ্যামবাজারের ওই ক্লাবে সেগুলি ছিল না।
সুকদেবের বাবা গৌতম সাহার অভিযোগ, তাঁকে দেরি করে ডাকার কারণেই ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। আগে ডাকলে হয়তো শেষ চেষ্টা করা যেত। ঘটনার পুরো দায় ক্লাবের দিকেই ঠেলেছেন তিনি। তবে এটাও মেনে নিয়েছেন, তাঁর ছেলে শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিল না।