শনিবারের ঘটনা নিয়ে দেবাশিস বলেন, “ক্লাবের বাইরে ঝামেলা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগান ক্লাবের এক কোটি সমর্থক রয়েছে। আজ যদি কেউ বেলঘরিয়ায় বা গড়িয়াহাটে মারপিট করে, তা হলে কি আমি কিছু করতে পারব? আজ মনোনয়নের শেষ দিন। কার সঙ্গে কার কী সমস্যা রয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। পুলিশ যে রকম তদন্ত করার সে রকম করবে। আমরা নিজে থেকে কিছু করব না।”
—ফাইল চিত্র
শনিবার ছিল মোহনবাগান ক্লাব কমিটিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেই কমিটিতে কারা থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, দেবাশিস দত্ত সচিব হতে পারেন। মঙ্গল অথবা বুধবার পূর্ণ কমিটি জানানো হবে।
যে প্যানেল জমা পড়েছে তাতে সচিব পদে রয়েছেন দেবাশিস। দীর্ঘ দিন ক্লাবের অর্থসচিব ছিলেন তিনি। এ বার সচিব পদে মনোনয়ন পেশ করলেন দেবাশিস। সহ-সচিব পদে নাম রয়েছে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। কোষাধ্যক্ষ হতে পারেন উত্তম সাহা। প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যকে যুব-ফুটবল সচিব করা হতে পারে।
কার্যকরী সমিতিতে থাকতে পারেন রঞ্জন বসু, সমীর চট্টোপাধ্যায়রা। যে কমিটির প্যানেল জমা পড়েছে তার বিরুদ্ধে কোনও প্যানেল যদি জমা পড়ে তবেই ভোট হবে। তবে অন্য কোনও প্যানেলের নাম জমা পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। পুরো কমিটির নাম ঘোষণা হওয়ার আগেই ক্লাবের বাইরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে যে হাতাহাতি, মারপিট হয়েছে তাতে তিন জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সেই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে দেবাশিস বলেন, “ক্লাবের বাইরে ঝামেলা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগান ক্লাবের এক কোটি সমর্থক রয়েছে। আজ যদি কেউ বেলঘরিয়ায় বা গড়িয়াহাটে মারপিট করে, তা হলে কি আমি কিছু করতে পারব? আজ মনোনয়নের শেষ দিন। কার সঙ্গে কার কী সমস্যা রয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। পুলিশ যে রকম তদন্ত করার সে রকম করবে। আমরা নিজে থেকে কিছু করব না।”
শনিবার মনোনয়ন পেশের শেষ দিন হলেও এখনও নাম প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিটি যাবতীয় মনোনয়ন নিরীক্ষণ করার পর নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করবে।