২০১৩ সালে প্রথম বার রোনাল্ডোকে দেখা যায় ‘সিউউউউউ’ উৎসব করতে। —ফাইল চিত্র
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো গোল করা কঠিন আর পর্তুগিজ তারকার মতো উৎসব করা আরও কঠিন। ভিয়েতনামের এক ফুটবলার রোনাল্ডোকে নকল করতে গিয়ে চোট পেলেন। যেতে হল হাসপাতালে।
২০১৩ সালে প্রথম বার রোনাল্ডোকে দেখা যায় ‘সিউউউউউ’ উৎসব করতে। চেলসির বিরুদ্ধে গোল করে কিছুটা দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে উঠে উল্টো দিকে ঘুরে যাওয়া। সেই সঙ্গে মাটিতে নেমে দু’হাত ছড়িয়ে দেওয়া। রোনাল্ডোর উৎসবের এই ভঙ্গি এখন খুবই পরিচিত। গোল করার পর প্রায় রোনাল্ডোকে এই উৎসব করতে দেখা যায়। শুধু রোনাল্ডো নন, তাঁর এই উৎসব নকল করেছেন অনেকে। ফুটবলার, ক্রিকেটার, অ্যাথলিট, অনেককেই দেখা গিয়েছে এই উৎসব করতে। কেউ গোল করার পর, কেউ উইকেট নেওয়ার পর এই উৎসব করেছেন। কিন্তু রোনাল্ডোকে নকল করা খুব সহজ নয়, সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন ভিয়েতনামের ফুটবলার ট্রান হং কিয়েন।
ভিয়েতনামের ক্লাব ভিয়েতল এফসি-তে খেলেন কিয়েন। সেই দলের হয়ে গোল করার পর রোনাল্ডোর ‘সিউউউউউ’ উৎসব নকল করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাতেই বিপত্তি। লাফ দিয়ে উঠেছিলেন, কিন্তু নামার সময় গন্ডগোল হল। পা মচকে গেল কিয়েনের। সেই চোট এতটাই বড় হয়ে উঠল যে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। প্রথমে খোঁড়াতে শুরু করেন কিয়েন। তাঁর চোখেমুখে তখন গোল করার আনন্দ নয়, ফুটে উঠছে যন্ত্রণার ছাপ। এক পায়ে লাফ দিতে দিতে এগোলেন কিছুটা। তার পর শুয়ে পড়লেন। সতীর্থরা প্রথমে শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। স্ট্রেচারে করে বার করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।
৩৮ বছরের রোনাল্ডো খেলেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের হয়ে। পর্তুগালের হয়ে ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ফ্রি কিক থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। তাঁর পরবর্তী ম্যাচ ২৭ মার্চ। সে দিন লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পর্তুগাল।