অকল্যান্ডের সেই জায়গায় পুলিশের টহলদারি। ছবি: রয়টার্স।
বৃহস্পতিবারই শুরু হতে চলেছে মহিলাদের বিশ্বকাপ। তার আগেই রক্তাক্ত হল নিউ জ়িল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ড, যেখানে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা। এক বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হল তিন জনের। গুরুতর আহত চার জন। সেই বন্দুকবাজকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পরেই নিরাপত্তা আরও জোরালো করা হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। তবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার কোনও খবর এখনও পর্যন্ত নেই।
এ বারই প্রথম ৩২ দেশের মহিলা বিশ্বকাপ হচ্ছে। পাশাপাশি প্রথম বার দু’টি দেশ একসঙ্গে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে প্রথম ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে নরওয়ে। সেই নরওয়ে দল যে হোটেলে রয়েছে, তার ৩০০-৪০০ মিটার দূরে হামলা করেছে ওই বন্দুকবাজ। স্থানীয় একটি বন্দরের পর্যটনকেন্দ্রের সামনে ওই বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। চার জন গুরুতর আহত। তার মধ্যে এক পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। হামলা শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ওই আততায়ীকে ঘিরে ফেলে। কিন্তু মৃত অবস্থায় তাঁকে একটি এলিভেটরে পাওয়া যায়।
নরওয়ের অধিনায়ক মারেন মেলদে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় দল একটু আতঙ্কিত হয়ে গেলেও এখন শান্ত। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনও সংশয় নেই। বলেছেন, “আমাদের সর্বদা নিরাপদে রাখা হয়েছে। হোটেলে ফিফার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভাল। আমাদের নিজেদেরও নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছেন। প্রত্যেকেই শান্তিতে আছে। ম্যাচের জন্যে স্বাভাবিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।”
স্থানীয় পুলিশ দর্শকদের অনুরোধ করেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ম্যাচ দেখার জন্যে একটু আগেই স্টেডিয়ামে পৌঁছে যেতে। নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হওয়ায় স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢোকাতে সময় লাগতে পারে। রাস্তায় গাড়িও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি যাবেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।